AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কষ্ট সহ্য করতে না পেরে হবিবর রহমানের আত্মহত্যা


Ekushey Sangbad
আব্দুল্লাহ সউদ, কালাই, জয়পুরহাট
০৪:৪৯ পিএম, ৬ এপ্রিল, ২০২৪
কষ্ট সহ্য করতে না পেরে হবিবর রহমানের আত্মহত্যা

জয়পুরগাটের কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের হারঞ্জা বাহিরপাড়া গ্রামের হবিবর রহমান (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। 

গতকাল শক্রবার (৫ মার্চ) রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার টার দিকে হবিবর রহমান নানা রোগে জর্জরিত হয়ে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তার নিজ বাড়ির বারান্দার বাঁশের সঙ্গে দড়ি বেঁধে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা যায়।

আত্মহত্যাকারী হবিবর রহমান একই এলাকার মৃত মোজাহার হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, আত্নহত্যাকারী হবিবর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগতে ছিল।কানে খুব কম শুনতো বলে লোকজন তাকে এড়িয়ে চলতো।সে খুব কষ্ট পেতো। বধির হওয়ায় তাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি প্রতিবন্ধী কার্ডও করে দিয়েছে। তার হার্টের ও যৌনঘটিত জটিল রোগও ছিল। কোনো কিছুতেই তার এ সমস্যাগুলো দূর করা সম্ভব হয়নি।হয়তো নানা রোগে জর্জরিত হওয়ায় কষ্ট সহ্য করতে না পেরে অভিমানে সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। 

হবিবর রহমানের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বলেন, আমাদের এক মেয়ের নামে সম্পদ লিখে দেওয়া আছে।তাকে বিয়ে দিয়েছি। বাড়িতে আমরা এখন দুজন থাকি। রমজান মাসে হবিবর ইফতারির আগেই বাড়ি আসে।মাঝেমধ্যে দুশ্চিন্তা নিয়ে শুয়ে-বসে থাকে। তাকে বাড়িতে রেখে বাহির থেকে তালা দিয়ে ঈশাসহ তারাবির নামাজ আমি মহিলাদের সাথে মসজিদে গিয়ে পড়ি।গতকাল রাত প্রায় ৯টার দিয়ে বাড়ির তালা খুলে দেখি সে বারান্দার বাঁশের সঙ্গে দড়ি বেঁধে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে আছে। তাকে এরুপ অবস্থায় দেখে জোরে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে দড়ি কেটে তাকে নিচে নামানো হয়।এরপর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন,হবিবর রহমান ঘটনাস্থলেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। 

এই বিষয়ে আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলি আকবর বলেন,হবিবর কানে খুব কম শুনতো আমি তাকে প্রতিবন্ধী কার্ডও করে দিয়েছি। তারপরেও সে নানা জটিল রোগে ভুগতে ছিল।কষ্ট সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশের নিকট খবর দিয়েছি।

এই বিষয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াসিম আল বারী জানান,পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ থানায় নিয়ে আসেন। কোনো অভিযোগ না থাকায় শুক্রবার রাতেই মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!