AB Bank
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শুকনো মৌসুমে জলাবদ্ধতা, দায় নিতে চায়না কেউ


Ekushey Sangbad
টি আই সানি, শ্রীপুর, গাজীপুর
০৩:৪৬ পিএম, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪
শুকনো মৌসুমে জলাবদ্ধতা, দায় নিতে চায়না কেউ

শুকনা মৌসুমেও পানির থৈথৈ, এটা কোন স্বাভাবিক পানি নয়, মাওনা চৌরাস্তার হোটেল ও আশেপাশে বাসা বাড়ির ময়লা পানি সড়কের উপর ছেড়ে দেওয়ায় জলাদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এর দায় নিতে চাচ্ছেনা কেউই, পৌরসভা বলছে শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলীর দায়িত্ব আর শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী বলছে শ্রীপুর পৌরসভার দায়িত্ব। তাহলে কে নেবে এর দায় প্রশ্নটা থেকেই গেল জনমনে।

মাওনা চৌরাস্তাকে বলা হয় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র। প্রতিদিন প্রায় লাখ লাখ লোকের পদচারণায় মুখর থাকে মাওনা চৌরাস্তা। তবে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও খাবার হোটেলসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের পানি ও বর্জ্য নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তা ঢাকা—ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ড্রেনে নিষ্কাশন করা হয়। এতে প্রাই দশ বছর ধরে সড়কের উপর জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আছে। এত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

মাওনা চৌরাস্তার ফল ব্যবসায়ী খোকন মিয়া জানান, মাওনা চৌরাস্তার আশপাশের বহুতল ভবন, খাবার হোটেলসহ ছোটবড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র উপায় হলো মহাসড়কের পাশের ড্রেন। আর এই ড্রেনের পানির নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পাই দশ বছরধরে এই সড়কে জলাবদ্ধ হয়ে আছে। এই পানির দুর্গন্ধে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় সাধারন মানুষের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি ড্রেনটির পানি নিষ্কাশনের জন্য পার্শ্ববর্তী কোনো খালে সংযোগ করে দেয় তাহলে এই দুর্ভোগ হতো না।

সিএনজি চালক জহিরুল ইসলাম জানান, মাওনা—শ্রীপুর ও মাওনা—কালিয়াকৈর এ দুটি আঞ্চলিক সড়ক মাওনা চৌরাস্তায় ঢাকা—ময়মনসিংহ মহাসড়কে এসে মিশেছে। এ দুটি সংযোগস্থল বছরজুড়ে জলাবদ্ধ থাকায় সবসময় নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার জারিন জানান, যদি পানিতে মানব বর্জ্য থাকে ও পানি দুষিত হয় তাহলে এ পানি শরীরের কোথাও লাগলে চর্ম, ডায়রিয়া ও চুলকানি রোগসহ পানিবাহিত রোগ হতে পারে।

শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী এ জেড.এম.রকিবুল আহসান জানান, শুকনো মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কথা না। যেহেতু বাসাবাড়ি, বাজার, খাবার হোটেলের দৈন্দদিন ব্যবহার্য পানি দ্বারা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে তাই সকলকে আগে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি ড্রেনে পানি ছাড়া বন্ধ করতে হবে। তবে এই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব শ্রীপুর পৌর মেয়র এর। পৌর এরিয়াতে আমাদের এলজিআইডির কাজ করার কোন সু—যোগ নেই।

শ্রীপুর পৌর মেয়র আনিছুর রহমান জানান, এই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব পৌরসভার না। এই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব এলজিইডি‍‍`র, আমি তাদেরকে বারবার বলার পরেও তারা বিষয়টি দেখছেন না। কিন্তু সাধারন মানুষ তো আর তা বুঝেনা, তারা শুধু দোষারফ করছে পৌরসভাকে, এলজিইডি‍‍`র কাজ আমি করতে পারিনা, তবু আমি আমার চেষ্টার কোন কমতি রাখিনি, আমার পৌরসভার যেটুকু সেটুকু আমি কাজ করে ঠিক করে দিয়েছি। এই দুর্ভোগ শুধু সাধারণ মানুষের নয়, আমারও এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। আমি অনেক বার বলেছি আবারও বলবো যাতে দ্রুত সময়য়ে মধ্যে এই কাজটি সমাধান করে দেয়া হয়।


একুশে সংবাদ/ট.আ.প্র/জাহা

Link copied!