দিগন্ত জোড়া মাঠে সবুজের সমারোহ শেষে ধানের শীষের সোনালী আভায় কৃষক স্বপ্ন বুনছে। ফলনের ভারে ধানের শীষ নুয়ে পড়েছে মাটির দিকে। যতই দিন যাচ্ছে ধানের রূপ ততই বদলাচ্ছে। শুরু হয়েছে ধান কাটা আর কৃষক প্রস্তুতি নিচ্ছেন নবান্ন উৎসবের।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুড়ে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, আবহাওয়া নানান প্রতিকুলের মধ্যে ,রোগবালাই সঠিক পরিচর্যায় চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে আশানুরূপ ফলন পাবেন বলে আশা কৃষকের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যেসব ক্ষেতের ধান কাটার জন্য উপযুক্ত হয়েছে, সে সব জমিতে কৃষক শ্রমিক নিয়ে ধান কাটা শুরু করেছেন। ধান কেটে তা মাঠে সপ্তাহ খানেক শুকানোর জন্য ফেলে রাখছে। পরে সেগুলো আঁটি বেঁধে গৃহস্থের গোলায় তুলতে তা মাড়াই করছেন কৃষক।
উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রহমান জানান, ৩ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছেন। বৈরী আবহাওয়া এবং নানান প্রতিকূলতার মাধ্যমে ফলন ভালো হয়েছে। কিছু ধান কেটে বাড়িতে এনেছেন।কাটা থেকে মাড়াই পর্যন্ত শ্রমিকরা এক বিঘা (৩২ শতক) প্রতি নিচ্ছেন ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা। নতুন আমন ধান ১ হাজার ৫০টাকা মণ দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৬ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ইতিমধ্যে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে এ ধানের চারা রোপণ করা হয় এবং অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে ধান কাটা হয়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :