রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মেঘনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্কুল কতৃপক্ষ ও এলাকাবাসী।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই তলার উপরে একটি কক্ষ নির্মাণের জন্য প্রায় ১১ লাখ টাকার টেন্ডার আহ্বান করে উপজেলা প্রকৌশলী। টেন্ডারে সরদার এন্টার প্রাইজের মো. মোতাহার হোসেন নামে ঠিকাদার কাজটি পান।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নিন্ম মানের ইট, সুরকি ও ঢালাই কাজে স্টিল মেটাল ব্যবহার করার থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। এ কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। তার একদিন পরেই আবারো নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। নিম্ন মানে ইটের খোয়া দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ করছিল। আমরা নিষেধ করার পরেও নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল এরপর স্কুল কতৃপক্ষ ও আমরা এলাকাবাসী মিলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। এরপর শুক্রবার সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে নির্মাণ শ্রমিকেরা তড়িঘড়ি করে নিম্নমানের সামগ্রী সারানোর চেষ্টা করেন।
নির্মাণ শ্রমিকেরা বলেন, আমরা যা কাজ করছি সবই এক নাম্বার শুধু ইটের খোয়া দুই নাম্বার। কলম ঢালাইয়ের কাজে কাঠ না স্টিল মেটাল ব্যবহার করার কথা রয়েছে এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, স্টিল মেটাল ব্যবহার করার কথা থাকলেও আমরা কাঠ দিয়ে কলম ঢালাই দিয়েছি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আনিসুর রহমান বলেন, ঢালাইয়ের কাজে নিম্নমানের ইট, সুরকি ব্যবহার করা হচ্ছিল। এজন্য স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসী মিলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে ঠিকাদার মোতাহার হোসেন বলেন, খোয়ার মান এতটা খারাপও ছিল না। আপনারা তো সবই জানেন বুঝেন। এক বালতি দুধের মধ্যে এক ফোঁটা লেবুর রসই যথেষ্ট। ভালো খোয়ার মধ্যে ওই খোয়া গুলো ভেসে উঠছে এ জন্য সব খোয়া রিজেক্ট। আর তিনটি কলম ঢালায়ের কাজ কাঠ দিয়ে করেছি। পরে ইঞ্জিনিয়ার জানার পর নিষেধ করেছেন।
পাংশা উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের একজন প্রতিনিধিকে পাঠিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। ঢালাইয়ের কাজের যে খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে সেই খোয়া পরীক্ষা করা হবে। এরপর আবার নির্মাণ কাজের অনুমতি দেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/জ.ই.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :