নীচু এলাকার কৃষকদের চাহিদাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বসেছে ধানের চারার বিশাল হাট। বিভিন্ন জাতের ধানের চারা নিয়ে কৃষক ও ব্যাপারীরা ভিড় করছেন হাটে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা এখান থেকে তাদের কাঙ্খিত চারা সংগ্রহ করছেন।
জেলার চাহিদা মিটিয়েও বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে এসব চারা। তবে হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় ধানের চারার চাহিদা কমে গেছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মওসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে বীজতলা তৈরি হওয়ায় চারা নিয়ে হাহাকার নেই । চলতি মওসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবাদ কার্যক্রম সফল করতে জেলায় দুই হাজার ৮৩২ হেক্টর জমিতে আমন বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এসব বীজতলা থেকে উৎপাদিত ধানের চারা নিয়ে কৃষক ও পাইকারি ভিড় করছেন হাটে।
জেলার প্রতিটি উপজেলায় চারার হাট বসলেও রোপা—আমন মওসুমকে সামনে রেখে ঢাকা—সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন্দনপুরে বসেছে ধানের চারার সর্ব বৃহৎ হাট। নিন্মাঞ্চলের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা হাট থেকে তাদের কাঙ্খিত চারা সংগ্রহ করছেন। এর মধ্যে খাসা, নাজিরশাইল, বীনা—৭, বিআর—২২ ও গাইন্ধার চারা উল্লেখ যোগ্য। প্রতি আটি ধানের চারা ৮০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রাক্ষণবাড়িয়াসহ আশ—পাশের জেলা থেকে খুচরা ও পাইকারি ক্রেতারা আসছেন চারা নিতে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার চারা বিক্রি হয় এ হাটে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, মানসম্পন্ন চারা উৎপাদনের লক্ষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেয়া হয়েছে। চারার সংকট মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে বীজতলা তৈরির পাশাপাশি মান সম্পন্ন চারা উৎপাদনে সহযোগীতার কথা জানান, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা উপ—পরিচালক সুশান্ত সাহা। জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭৬ হেক্টর বেশি জমিতে আমন বীজতলা তৈরি হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :