জামালপুরের মাদারগঞ্জে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসারের দুর্ব্যবহারে শিকার হয়েছেন এক সাংবাদিক। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এঘটনা ঘটে।
জানা যায়, একটি পুকুর পাড়ে কয়েকজন শিক্ষকের সাথে সহাকারী শিক্ষা অফিসার সাইদুর রহমান বাদাম খাচ্ছিলেন। অফিস চলাকালীন সময়ে বেলা ১২টায় স্কুল ফাঁকি দিয়ে আসা শিক্ষকদের সাথে বাদাম চিবিয়ে সময় কাটানো চাকরি বিধিবহির্ভূত কিনা জানতে চাইলে, সহকারী শিক্ষা অফিসার সাইদুর রহমান জানান, শিক্ষকরা তাদের প্রয়োজনে শিক্ষা অফিসে এসেছে। বেলা ২ঘটিকার আগে শিক্ষকরা স্কুল ফেলে শিক্ষা অফিসে আসতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষকরা প্রয়োজনে যেকোন সময় শিক্ষা অফিসে আসতে পারেন।
তার এ কথা শুনে স্থানীয় দৈনিক পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিনের সাংবাদিক বজলুর রহমান খান ও জাতীয় দৈনিক খোলা কাগজের উপজেলা প্রতিনিধি এম আর সাইফুল ওই শিক্ষকরা কী কাজে শিক্ষা অফিসে এসছেন তা জানতে গেলে এটিও সাইদুর রহমান বলেন, ‘আপনাদের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে কেন? আপনারা কিসের সাংবাদিক’ বলে সাংবাদিক বজলুর রহমানের সাথে অসৌজন্যমূল্যক আচরণ করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসার মোঃ নূরুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাংবাদিকের সাথে দুর্ব্যবহারের বিষয়ে তিনি এটিও সাইদুর সাহেবকে সতর্ক করেছেন, যাতে ভবিষ্যতে এধরণের আচরণ না করে।
শিক্ষকদের স্কুল ফাঁকি দিয়ে শিক্ষা অফিস এবং এর পাশের ক্যান্টিনে বসে আড্ডা দেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, এখন থেকে কোন শিক্ষক শিক্ষা অফিসে এলে মোভমেন্ট রেজিষ্ট্রারে স্বাক্ষর করতে হবে এবং কীকারণে অফিসে এসেছেন তা উল্লেখ করতে হবে।
একুশে সংবাদ/এ.স.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :