AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আখাউড়া-আগরতলা রেল সীমান্তের শূন্য রেখা পর্যন্ত ট্রায়াল দিল গ্যাং কার


Ekushey Sangbad
এনায়েত খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
০৬:১১ পিএম, ২২ আগস্ট, ২০২৩

আখাউড়া-আগরতলা রেল সীমান্তের শূন্য রেখা পর্যন্ত ট্রায়াল দিল গ্যাং কার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে আজ মঙ্গলবার দুপুরে চলেছে গ্যাং কার। প্রথম বারের মতো গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভারত সীমান্তের শূন্য রেখা পর্যন্ত চলেছে এই কার। এই দিন পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে বলে জানা গেলেও সংশ্লিষ্টরা বলেছেন এই ট্রেন চালাতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে। তবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সম্ভাব্য উদ্বোধনের দিনকে সামনে রেখে এই রেলপথের কাজ চলছে।

 

প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভারতের নয়াদিল্লির টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ প্রধান (কান্ট্রি হ্যাড) শরৎ শর্মা বলেন, আখাউড়া অংশের ছয় কিলোমিটার এলাকায় রেললাইন বসানো হয়েছে। এখনো ভাড়ি ইঞ্জিনের ট্রেন চলাচলে আরো কিছু কাজ করতে হবে। তবে গ্যাং কারে করে আজ আখাউড়া অংশের পুরো রেললাইন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। আরো ঠিক কি কি কাজ করা প্রয়োজন তা দেখে এলাম। আগামী দশ দিনের মধ্যে পুরো রেলপথ ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী হবে বলে তিনি আশাবাদী।

 

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী ও আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়া বলেন, বর্ডার পর্যন্ত রেললাইন বসানো হয়ে গেছে। ফিটিংস লাগানো শেষ হয়েছে। এখন বেলাস্টিং চলছে পেকিং দেওয়া হচ্ছে যাতে লেভেল ঠিক থাকে। তিনি আরো বলেন , এই মাসের শেষের দিকে এই কাজ শেষে রেলইঞ্জিনে ট্রায়াল হবে। ইমিগ্রেশন ভবনের কিছু কাজ বাকি আছে। তবে আগামী ৯ তারিখের মধ্যে অনেকটা উপযোগী করা যাবে। 

 

আখাউড়া থেকে ভারতের ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেলপথটি সাড়ে দশ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের। এখানে ছয় কিলোমিটার অংশ বাংলাদেশে। বাকি সাড়ে চার কিলোমিটার আগরতলা অংশে। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ও রেলযোগাযোগ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে এই রেলপথ প্রকল্প। কলকাতা থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে পণ্য ও যাত্রীবাহী ট্রেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে রেল যোগাযোগও স্থাপন হবে এমনটিই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। আঠারো মাস মেয়াদি প্রকল্পটি চার দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পর এখন ট্রেন চলাচলের উপযোগী করার কাজ চলছে।

 

একুশে সংবাদ/এ.খ.প্র/জাহা

Link copied!