জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার মৎস্য অফিসারের অভিযানে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তরাধীন দেশী প্রজাতির মাছ উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় মৎস্য বিষয়ক আইন বাস্তবায়নে আজ রোববার বাহাদুরাবাদ নৌথানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুল হক মল্লিকসহ ০৭ নৌ পুলিশসদস্য এবং মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় যমুনা নদীর ‘খ’ অংশে সকাল ১০টায় এ অভিযান পরিচালনা করেন মাদারগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসার তাহমিনা খাতুন। পরে জব্দকৃত ৫০ মিটারের ৭৮টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
এ বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন বলেন জাল হিসেবে বর্ণনা করা হলেও চায়না দুয়ারী মূলত মাছ ধরার এক ধরণের ফাঁদ। একে চায়না জাল, ম্যাজিক জাল এবং ঢলুক জাল নামেও ডাকা হয়। এই জালের বুননে একটি গিঁঠ থেকে আরেকটি গিঁঠের দূরত্ব যা মেস সাইজ নামে পরিচিত খুব কম অর্থ্যাৎ ৪.৫ সে.মি কম। জালের ‘মেস-সাইজ’ এর চেয়ে কম হলে, সেটি দেশের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। এটি নদীর একেবারে তলদেশ পর্যন্ত যায় এবং তলদেশের মাটির সাথে মিশে থাকে।ফলে কোন মাছ একবার জালে ঢুকলে আর বের হতে পারে না।আর এই জাল এত সূক্ষ্ম যে ছোট ছোট জাতের মাছ, এমনকি মাছের ডিমসহ ও অন্যান্য মৎস্য উঠে আসে।
চায়না দুয়ারী ছোট ফাঁসবিশিষ্ট, যা কপাটের মত কাজ করে। এতে মাছসহ যেকোন জলজ প্রাণী একবার ঢুকে পড়লে জালের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। যেহেতু এই জালে একবার ধরা পড়লে আর বের হতে পারে না, তাই অনেক বিপন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী মারা পড়ে। সেগুলো আর ওইসব প্রাণীর বংশ বৃদ্ধিতে কোন ভূমিকা রাখতে পারে না। এই কারণে জলজ জীববৈচিত্র্য নষ্ট হবার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একুশে সংবাদ/সা.ই.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :