কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ জেলের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আরও ৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে পুলিশ। ডিএনএ টেস্টের নমুনা মেলানোর কারণে প্রায় আড়াই মাস পর মরদেহ বুঝে পায় স্বজনরা।
তিন মরদেহগুলো হলো- সাইফুল ইসলাম, পারভেজ মোশাররফ ও মো. সাইফুল ইসলাম। তারা সকলে মহেশখালীর বাসিন্দা।
রোববার (৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩ টায় জেলা সদর হাসপাতাল মর্গ থেকে এসব মরদেহ হস্তান্তর করেন কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ষাটোর্ধ সাহাব মিয়া অন্যদের মতো ছেলে সাইফুল্লাহর মরদেহ গ্রহণ করতে মহেশখালী শাপলাপুর থেকে এসেছিলেন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে। সারাদিন মর্গের সামনে কেটেছে তার। কিন্ত ডিএনএ নমুনা না মেলার কারণে ছেলের মরদেহ পাননি তিনি।
সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ৮ জুলাই সেই পরীক্ষার ফল এসে পৌঁছায় পুলিশের হাতে। ৯ জুলাই ৪ মরদেহের মধ্যে তিন জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে এবং অপর জনের পরিচয় না পাওয়ায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আনজুমানে মুফিদুল ইসলামের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়েছিল ৬ জনের মরদেহ। ৪ জনের একাধিক দাবিদার থাকার কারণে পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছিল পুলিশ।
কক্সবাজার সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, মরদেহগুলোর ডিএনএ টেস্টের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একজনের মরদেহ অজ্ঞাত হিসেবে আনজুমানে মুফিদুল ইসলামের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ এপ্রিল কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরআগে জলদস্যুরা এই জেলেদের হত্যা করে বরফ ও মাছ রাখার স্থানে ডুকিয়ে রেখেছিল। বোট মালিক ও নিহত সামশুল আলম মাঝির স্ত্রীর দায়েরকৃত ১০ জেলেকে হত্যা মামলার ৮ জন আসামী কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় ছয়জনের মরদেহ শনাক্ত হওয়ার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। চার জনের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়।
একুশে সংবাদ/শ.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :