AB Bank
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নিষেধাজ্ঞা থাকায় সুন্দরবন ভ্রমণ থেকে বঞ্চিত পর্যটকরা


নিষেধাজ্ঞা থাকায় সুন্দরবন ভ্রমণ থেকে বঞ্চিত পর্যটকরা

ঈদ সহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটি পেলেই ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসতেন সুন্দরবনে। কিন্তু নদী ও সাগরে মাছের প্রজনন বৃদ্ধিতে সব ধরনের নৌযান চলাচল ও পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চলছে। যে কারনে লম্বা ছুটি থাকা স্বত্বেও সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারেনি পর্যটকরা। এতে যেমন সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে তেমনি ক্ষতির মুখে পড়েছেন সুন্দরবন সংলগ্ন পর্যটন ব্যবসায় জড়িতরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন ছ্রজাতির সামুদ্রিক মাছ আহরণ বন্ধ রেখে মাছের নিরাপদ প্রজননের সুযোগ তৈরী করতে গত ২০ মে থেকে বঙ্গোপসাগর সহ সুন্দরবনের নদী ও খালে সব ধরনের মৎস্য আহরণ ও বিপননে গত ২০ মে থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রনালয়।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহবুব হাসান জানান, সুন্দরবনে নদী ও খালে মাছের প্রজনন স্বাভাবিক রাখতে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পর্যটকবাহী নৌযান সুন্দরবনের অভ্যন্তরে চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। এ জন্য আগামী তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটকদের আগমন ও ভ্রমণও বন্ধ আছে। এ সময়ে সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য জেলে ও দর্শনার্থীদের কোনও পাস পারমিট দেওয়া হবে না।

সুন্দরবনের ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ী মোঃ রাসেল আহমেদ জানান, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে টানা সাত মাস বন্ধ থাকার পর ২০২০ সালের ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন খুলে দেওয়া হয়েছিল। ফলে দীর্ঘদিন পর প্রাণচাঞ্চল্য ফেরে সুন্দরবন কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। কিন্তু এবার ঈদুল আজহার লম্বা ছুটি পেলেও সুন্দরবনে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আসায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছে।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনের খাল ও নদীগুলোতে মাছের প্রজনন বৃদ্ধির বৃহত্তর স্বার্থে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে পুনরায় পর্যটকরা বনে প্রবেশ করতে পারবেন। এছাড়া ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে পর্যটন স্পটগুলোর সংস্কার ও আধুনিকায়ন এবং নতুন আরও চারটি পরিবেশ বান্ধব পর্যটন স্পট নির্মাণ করা হচ্ছে। পর্যটন স্পটগুলো হচ্ছে সুন্দরবনের পশ্চিম বিভাগে শেখেরটেক,  শরণখোলার আলীবান্ধা, কালাবাড়ি ও কৈলাশগঞ্জ পর্যটন কেন্দ্র। এই পর্যটন স্পটগুলো নির্মিত হলে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের প্রতি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে জানান তিনি। 
 

একুশে সংবাদ/স ক 

Link copied!