AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

লাখাইয়ে শত বছরের পুরাতন বৈশাখী মেলা


Ekushey Sangbad
লাখাই উপজেলা প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ
১০:৪৯ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩

লাখাইয়ে শত বছরের পুরাতন বৈশাখী মেলা

সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জ জেলায় পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষকে ঘিরে নানা ধরনের বর্ণিল উৎসবের আয়োজন করা হয়। কিন্তু পিছিয়ে নেই এ জেলার গ্রামের মানুষ। গ্রামাঞ্চলেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় বাংলা নববর্ষ  তথা পহেলা বৈশাখ।

 

এমনি একটি গ্রাম ১ নং  লাখাই ইউনিয়নের স্বজনগ্রাম। হবিগঞ্জ শহর থেকে ২৮ কিলোমিটার লাখাই উপজেলার শেষ সীমানায় এই গ্রামের অবস্থান। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কলকলিয়া নদীর তীরে  প্রতি বছর  আয়োজন করা বৈশাখী মেলা। শত বছরের বেশি পুরাতন এই মেলার পরিধি প্রতি বছরই বাড়ছে। এক সময় এই মেলা ছিল সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের চৈত্র সংক্রান্তির স্নানের মেলা। সময়ের ব্যবধানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের চৈত্র সংক্রান্তির মেলা পরিবর্তিত হয়েছে    বৈশাখী মেলায়। হিন্দু-মুসলমান সকলের কাছে গ্রামীন এই মেলা সমাদৃত। মেলার আশে পাশে একসময় হিন্দুদের বসতি থাকলেও বর্তমানে সেখানে বসতি ঘরে উঠেছে মুসলমান সম্প্রদায়। তবে এতটুকু কদর কমে নি গ্রামীণ এই মেলার।  


এই মেলাকে কেন্দ্র করে  চলে উৎসবের আমেজ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির হয়ে শত বছরের পুরাতন মেলার পরিধি দিন দিন বাড়ছে।

 

মেলার প্রধান আকর্ষণ হরেক রকমের খাবার যেমন- মুড়ি, মুড়কি, বাতাসা, কাঁঠালি, মন্ডা।রয়েছে কৃষিকাজের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কুলা, ডালা, খালই, বাশের লাঠি। এছাড়াও রয়েছে মোটরসাইকেল খেলা, নাগরদোলা, বিভিন্ন আইটেমের খেলনা, গৃহস্থালি  আসবাবপত্র, মেয়েদের প্রসাধনীর দোকান।

 

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সরেজমিনে মেলা ঘুরে দেখা যায়, শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে মেলায় ঘুরছে। মেলায় ঘুরতে আসা বামৈ গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে তিনি প্রতিবছর  মেলায় বেড়াতে এসে কৃষিকাজের জন্য দরকারি জিনিসপত্র নিয়ে যান।

 

স্বজনগ্রামের বাসিন্দা সুজন রায় জানান, শত বছরের ও বেশি পুরাতন এই মেলায় আমি আমার ছোটবেলা থেকেই ঘুরতে আসি এবং প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিয়ে যাই। একদিনের এই মেলায় গ্রামের বেশিরভাগ পুরুষ একত্রিত হয়, কুশল বিনিময় করে।

 

মেলায় আগত দোকানিরা জানান, মেলায় বিকেল থেকে উপচে পড়া ভিড় হয় এবং বেচাকেনা ও ভালো হয়।

 

স্থানীয় বাসিন্দা আশিস দাশগুপ্ত জানান, প্রতিবছরের ন্যায় নদীতে স্নান করে তারপর মেলা  থেকে ছেলেমেয়েদের জন্য জিনিসপত্র কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছি।

 

ব্রিটিশ আমল থেকেই এখানে চৈত্র সংক্রান্তির মেলা অনুষ্ঠিত হতো যা কালের আবর্তনে বৈশাখী মেলা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ/সা.চ.বি.প্রতি/এসএপি

Link copied!