টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ ঘোনাপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাস্তার মাঝ খানে প্রায় ২শ’ বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে মহাসড়ক প্রশস্ত করন ও উন্নয় কাজ। এতে রাস্তা প্রশস্ত হলেও সুফল মিলবেনা বলে জানিয়েছে এলাকাবাসি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, বিদ্যুৎ বিভাগকে(ওজোপাডিকো)খূঁটি সরানোর জন্য চিঠি দেয়া হলেও তারা খুঁটি সরানোর কোন উদ্যোগ নিচ্ছেনা। অন্যদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগ (ওজোপাডিকো)বলছে অর্থ বরাদ্দ পেলেই তারা খুঁটি সরানোর কাজ করবে। সওজ আর বিদ্যুৎ বিভাগের রশি টানাটানিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা নিয়ে শংকা দেখা দিয়েছে।
গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া ৪৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক ৬টি প্যাকেজে ১৮ ফুট থেকে ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে নির্মা্ন কাজের ১ বছর পেরিয়েছে।আগামী বছরের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার তাড়া রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের।কিন্তু, গোপালগঞ্জ অংশে ৫ ও ৬ নম্বর প্যাকেজের বর্ধিত অংশের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ (ওজোপাডিকোর) বিভাগের প্রায় ২শ” বৈদ্যুতিক খুঁটি।রাস্তা প্রশস্ত কাজ করতে গিয়ে এসব খুঁটি রাস্তার মাঝ খানে চলে এসেছে।এসব বৈদ্যুতিক খূঁটি অপসারন না করেই চলছে রাস্তা প্রশস্ত করার কাজ।
এসব পিলারের কারনে দুর্ঘটনা বাড়বে বলে এলাকাবাসি ও যানবাহন চালকরা মনে করেন।রাস্তার মাঝ থেকে পিলার না সরানোর কারনে সঠিক মত রোলার দিয়ে মাটি ভরাট করতে পারছেনা শ্রমিকরা। এতে করে ঐ স্থানে মাটি ঠিক মত না বসার কারনে পরবর্তিতে মাটি বসে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করেন তারা।
প্রজেক্ট ম্যনেজার বিভূতি ভূষন ভৌমিক ও টিকাদার কামরুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক খুটি না সরিয়ে কাজ করায় মাটি ঠিকমত বসানো যাচ্ছে না।কাজের পর যদি আবার খুটি উঠিয়ে কাজ করা হয় তাহলে ঠিকমত কমপেকশন হবেনা। আর একারেন কাজের মান ভাল হবেনা এবং সময় মতো কাজ শেষ করা সম্ভব হবেনা।
গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহিদ হোসেন বলেন, সদর উপজেলার হরিদাশপুর এলাকা থেকে ঘোনাপাড়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভাগকে তাদের প্রায় ২শ” বৈদ্যুতিক খুটি সরিয়ে নেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হলেও তারা তা করছেন না। যে কারেন কাজের অগ্রগতি কমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।
গোপালগঞ্জ ওজোপাডিকো-র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি সরোনোর প্রাক্কলিত টাকা হাতে পেলেই সরানোর কাজ হাতে নেয়া হবে।
২০২৪ সালের ৩০ জুন এই মহাসড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।এই মহাসড়কের কাজ শেষ হলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপর যানবাহনের চাপ কমবে।ঢাকার সাথে খুলনার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার কমে আসবে। এতে যানবাহনের জ্বালানী খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি যাতায়াতকারীদের সময়ও কম লাগবে।
একুশে সংবাদ/মু.মো.হু.প্রতি/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :