গোপালগঞ্জে ভূমি জাল জালিয়াত চক্রের সদস্য গাজী তাইফুর জিসানের (৩০) প্রতারণায় অনেকেই সর্বশান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে জমি বিক্রির কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা গ্রহন করেছেন বলে জানাগেছে। সম্প্রতি সে গ্রেফতার হওয়ায় ভূক্তভোগীরা স্বস্তি পেয়েছেন।
ভূক্তভোগী শহরের নবীনবাগ এলাকার গাজী মাসুদুর রহমান বলেন, গাজী তাইফুর জিসান যশোরের কোতয়ালী থানার কসবা এলাকার গাজী আমিনের ছেলে। শহরের নবীনবাগ এলাকায় তার বাবা গাজী আমিনের কিছু শরিকীয় সম্পত্তি ছিলো। কিন্তু তিনি জীবিত থাকাকালীন তার অংশের সম্পত্তি বিক্রি করে গেছেন। তার মৃত্যুর পর ছেলে গাজী তাইফুর জিসান বিভিন্ন সময় সম্পত্তি বিক্রির কথা বলে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা নেন। পরবর্তিতে জাল জালিয়াতি করে ভূয়া সম্পত্তি লেখে দেন।
সম্প্রতি সে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১১৭ নং তেঘরিয়া মৌজার বিআরএস-১/১ নং খতিয়ানের সাবেক ৬৬২ নং দাগের ০.০২৮৫ একর জমির নামজারির জন্য দরখাস্ত দাখিল করে। পরবর্তিতে তার দাখিলকৃত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে গোপালগঞ্জ পৌর সহকারি ভূমি অফিস তার দাখিলকৃত দলিল দস্তাবেজ ৩১১২ নং দলিলের সার্টিফাইড কপি দুটি রেজিস্ট্রি অফিসের বালাম বইয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ দেখতে পান। সে প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভূয়া ভিত্তিহীন ও বানোয়াট দলিল সৃজন করে। অস্তিত্বহীন এ দলিলের সার্টিফাইড কপি সৃজন করে ভূয়া ও জাল জানা সত্বেও নিজ দখলে রেখে নামজারির কাজে ব্যবহার করে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারী সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মনোয়ার হোসেন শুনানীকালে তার সার্টিফাইড কপির মূল কপি উপস্থাপন করলে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এ সময় দলিলের নকল দুটি জব্দ করা হয় এবং গাজী তাইফুর জিসানকে আটক করা হয়।
পরে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গাজী তাইফুর জিসানের ১৮৬০ সানের দন্ডবিধি ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় গোপালগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গোপালগঞ্জ সদর থানার মামলা নং ২৩, তারিখ ১৭/০২/২০২১ ইং।
একুশে সংবাদ/ ম.ম /এস
    
                        

                                            
                                                        
                            
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
												
												
												
												
												
												
												
												
                                            
                                            
                                            
                                            
