AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ময়মনসিংহে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে থ্রী হুইলার


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
১১:১৯ এএম, ২২ জানুয়ারি, ২০২১
ময়মনসিংহে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে থ্রী হুইলার

ময়মনসিংহে দিন দিন বেপরোয়া হচ্ছে থ্রী হুইলার যানবাহন। এতে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা, সাথে বেড়েছে আহত ও মৃত্যুর সংখ্যা।

ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে এদের দাপট লক্ষনিয়। মহাসড়কে থ্রী হুইলার চলানো নিষেধ থাকলেও মানছে না চালকরা। ঢাকা ময়মনসিংহ চার লেনের মহাসড়কে বড় গাড়ী গুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে থ্রী হুইলার।

এই মহাসড়ক দিয়ে ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়া মোড় এবং ব্রীজের মোড় থেকে ত্রিশাল উপজেলা, বালিপাড়া, গফরগাঁও উপজেলা পর্যন্ত থ্রী হুইলার চলাচল করে। অপরদিকে ময়মনসিংহের বাইপাস মোড়, টাউনহল মোড়, ব্রীজের মোড় থেকে ময়মনসিংহের তারাকান্দা, ফুলপুর, গৌরীপুর, নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া উপজেলা ছাড়াও জামালপুর, শেরপুর এবং নেত্রকোনা জেলায় থ্রী হুইলার চলাচল করে।

অপ্রাপ্ত বয়স, অদক্ষ, বড় যানবাহনের সাথে পাল্লা দেওয়ার কারনে অনেক সময় এই সব সড়কে ঘটে থাকে ছোট থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ৩ জানুয়ারী ময়মনসিংহ নেত্রকোনা সড়কে বাসের সাথে সিএনজি অটোরিক্সায় সংঘর্ষে একই পরিবারের ছয়জন সদস্য সহ সাতজন নিহত হয়। ২০ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে একই সড়কে ট্রাকের সাথে সিএনজি অটোরিক্সার সংঘর্ষে মারা যায় তিনজন।  একই বছর ০৮ আগস্ট ময়মনসিংহ জামালপুর সড়কের মুক্তাগাছায় বাস সিএনজি অটোরিক্সার সংষর্ষে মারা যায় সাতজন অটোরিক্সার যাত্রী। ০৬ জুলাই ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ সড়কের নান্দাইলে ট্রাক সিএনজি অটোরিক্সার সংঘর্ষে নিহত হয় তিন যাত্রী। ২০১৮ সালে ১১ মে ময়মনসিংহ শেরপুর সড়কের তারাকান্দা উপজেলার কাকনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাস সিএনজি অটোরিক্সার সংঘর্ষে নিহত হয় পিতা পুত্র সহ ছয়জন। এছাড়াও সড়ক গুলোতে কয়েকদিন পর পর দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন এক দুইজন করে।

এতকিছু হবার পরও কেন সড়ক দুর্ঘটনা কমছে না এবং সড়কে থ্রী হুইলারের বেপরোয়া চলাচল সম্পর্কে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ নাগরিক আন্দোলনের নেতা এড. শিব্বির আহমেদ লিটন জানান, ময়মনসিংহ থেকে শেরপুর, জামালপুর, ও নেত্রকোনা জেলার সংযোগ সড়কগুলোর প্রস্থ খুবই কম। এর কারনে সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রার বেড়ে গেছে। সেই সাথে চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব বেশি। কে কার আগে যাবে তা নিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালায়। ফলে ঘটে দুর্ঘটনা।  এছাড়াও থ্রী হুইলার সহ ছোট যানবাহন গুলোর চালক অপ্রাপ্ত বয়স, অদক্ষতা, ট্রাফিক আইন মেনে না চলার কারনেও প্রতি নিয়ত বেড়ে চলেছে সড়কে প্রাণ হারানোর সংখ্যা। তিনি আরো জানান, যাত্রী এবং চালকদের সচেতনতার জন্য চালকদের নিয়ে ক্যাম্পেইন, যাত্রীদের মাঝে লিফলেট বিরতন করা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা কমানো যাচ্ছে না। 

ময়মনসিংহ ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান জানান, মহাসড়কে এবং আঞ্চলিক সড়ক গুলোতে দুর্ঘটনা এড়াতে থ্রী হুইলার চালকদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে বলা হয়েছে। ময়মনসিংহে সংযোগ সড়ক বেশি থাকায় থ্রী হুইলার গুলো এই সব সড়ক দিয়ে গিয়ে মহাসড়কে উঠে পড়ে। আর আঞ্চলিক সড়কগুলোর ছোট বড় সব যানবাহনের গতি পর্যবেক্ষন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সাথে কোন অপ্রাপ্ত, অদক্ষ চালক আছে কিনা তার উপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে।


একুশে সংবাদ/সৌরভ/অমৃ

Link copied!