জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদলের পর আরও চারটি প্যানেল ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। তারা নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন ও পুনঃতফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন শরণ এহসান।
প্রথমে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। পরে সম্প্রীতির ঐক্য, সংশপ্তক পর্ষদ, অঙ্গীকার পরিষদ এবং ছাত্র ফ্রন্টের একটি অংশ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। একই সঙ্গে পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও ভোট বয়কট করেন।
এদিকে, অনিয়মের অভিযোগ এনে বিএনপিপন্থী তিন শিক্ষকও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন, ড. নাহরীন ইসলাম খান, গণমাধ্যমকে জানান— ভোট প্রদানের পর আঙুলে ব্যবহার করা কালি সহজেই মুছে যাচ্ছে। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও কালি ব্যবহার না করার অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। তার দাবি, ভোটকেন্দ্রে নিয়ম অনুযায়ী ব্যালট দেওয়ার সময় কালি দেওয়ার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে ভোট শেষে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় বাইরে থেকে কালি লাগানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৮৯৭। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রায় ৫৪৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ১০২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বামপন্থি, ছাত্রদল, শিবির ও স্বতন্ত্রসহ মোট আটটি প্যানেল অংশ নেয় এ নির্বাচনে।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে