ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচিত মুখ ক্যাম্পাসের ভ্রাম্যমাণ দোকানী আবদুল মজিদ। সদা হাস্যোজ্জ্বল এই দোকানিকে ‘মজিদ মামা’ বলে সম্বোধন করেন সবাই। তিনি ১৫ বছর ধরে ক্যাম্পাসে পেয়ারা, শশা, আমড়া, বরই, কদবেল, আনারস সহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলের মুখরোচক বিভিন্ন মাখানো বিক্রি করছেন। ক্ষুদ্র এই ব্যবসার আয়ের উপর নির্বর করেই চলে পুরো পরিবারের ব্যয়ভার। সামান্য অর্জিত অর্থ দিয়ে পরিবার চালাতে গিয়ে সঞ্চয় রাখতে পারেননি তেমন কোনো অর্থ। ফলে বিপদের সময়ে দারস্থ হতে হচ্ছে অন্যের উপর। সম্প্রতি মূত্রনালি ফেটে যাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আবদুল মজিদ। তাই তার দ্রুত অপারেশন প্রয়োজন। যাতে ২ লক্ষাধিক টাকা খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে মজিদের সেই ব্যয়ভার বহনের সামর্থ্য নেই। তাই সমাজের সচ্ছল ও বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
মজিদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইবি থানার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের বাসিন্দা। ৪ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনিই। এই অসুস্থতার কারণে এখন পরিবার নিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে ধরতে চান পরিবারের হাল।
জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে আবদুল মজিদ তলপেটে ব্যাথা অনুভব করতেন। পরে ঘনঘন প্রস্রাবের লক্ষণ দেখা দিলে মজিদ গত দেড় মাস আগে কুষ্টিয়া ও রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসককে দেখান। চিকিৎসক বলছেন, তার মূত্রনালি ফেটে গেছে। তাই এক মাসের মধ্যে অপারেশন করা জরুরি। তিনি ঢাকা পিজি হাসপাতালে অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। আর এই অপারেশনের জন্য সবমিলিয়ে ২ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। দারিদ্রের সাথে যুদ্ধ করা মজিদের সেই সামর্থ্য নেই। ইতোমধ্যে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাবদ ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছেন।
আবদুল মজিদ জানান, ২ লক্ষ টাকা এই মুহুর্তে আমার পক্ষে বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এসময় আমার পরিবারের দায়িত্ব নিতেই কষ্ট হচ্ছে সেখানে এই ব্যয়ভার বহন করা কল্পনাতীত। ইতোমধ্যে জমানো টাকা ৫০ হাজার টাকা প্রাথমিক চিকিৎসা বাবদ খরচ করে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি।
তিনি আরো জানান, এই অসুস্থতার মাঝেও পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে ক্ষুদ্র ব্যবসাটি চালিয়ে নিচ্ছি। আমার উপার্জন বন্ধ হয়ে গেলে আমার পরিবার না খেয়ে মরবে। তবে দিনদিন এভাবে চললে আমার অবস্থার আরও অবনতি হবে। এমতাবস্থায় আমি নিজে বাঁচতে ও পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে সকলের আর্থিক সহায়তা কামনা করছি। আমি মনে করি, প্রত্যেকে যদি সাহায্য করে আল্লাহর রহমতে আমি চরম মূহুর্তটি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হব। তাই সকলের কাছে সাহায্যপ্রার্থী।
সাহায্য পাঠানোর মাধ্যম: ০১৭৮২২৭৪৯২৪ (বিকাশ)
অগ্রণী ব্যাংক: ১৩৬৬৪, ০২০০০১৩১৬২০০৭ (অনলাইন)
একুশে সংবাদ/বিএইচ
 
    
 
                        

 
                                         
                                             
                                                        
                             একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                            
