ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. পডকাস্ট

২০২২ গবেষণাপত্র প্রকাশে জাবির ‍‍`সেরা‍‍` পাঁচ গবেষক


২০২২ গবেষণাপত্র প্রকাশে জাবির ‍‍`সেরা‍‍` পাঁচ গবেষক

২০২২ সালে ‍‍`স্কোপাস‍‍` ইনডেক্স ভুক্ত জার্নালগুলোতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে বিখ্যাত জার্নাল এলসেভিয়ারে একটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এতে সারা দেশের ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

 

গেল বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রকাশিত মোট গবেষণা পত্রের সংখ্যা ৬৪৭ টি। প্রকাশিত মোট গবেষণা পত্রের ২১ শতাংশ প্রকাশ করেছে তিন শিক্ষক ও দুই  শিক্ষার্থী ।তাদের প্রকাশিত গবেষণাপত্রের সংখ্যা ১৩৬ টি।

 

৩৯ টি গবেষণা পত্র প্রকাশ করে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফোরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ এ মামুন। অপরদিকে ২৮ টি গবেষণা পত্র প্রকাশ করে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক শামীম কায়সার।

 

তৃতীয় অবস্থানে থাকা পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের প্রকাশিত গবেষণার সংখ্যা ২৬ টি। পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ ২৪ টি গবেষণা পত্র প্রকাশ করে তালিকার চতুর্থ অবস্থানে আছেন। এছাড়া পঞ্চম অবস্থানে থাকা পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফোরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলামের প্রকাশিত গবেষণা পত্র ২২ টি।

 

দেখা যাচ্ছে, শিক্ষকদের সাথে সাথে শিক্ষার্থীরাও গবেষণায় এগিয়ে আসছে। অদূর ভবিষ্যতে গবেষণার মান ও সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন তারা।

 

তালিকার শীর্ষে থাকা স্নাতকোত্তরে অধ্যায়ণরত পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ এ মামুন শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণায় আরও বেশি বেশি অর্থিক বরাদ্দ দাবি করেছেন।

 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট বরাদ্দ না থাকায় তারা গবেষণায় আগ্রহী হচ্ছে না। এক্ষেত্রে প্রশাসনের উচিত শিক্ষার্থীদের গবেষণার মান ও সংখ্যা বৃদ্ধিতে আর্থিক সহায়তা দেয়া। এছাড়া একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের ইচ্ছাশক্তি ও সময় ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিতে হবে।

 

এদিকে গাণিতিক ও পদার্থবিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে গবেষণা করা ও গবেষণাপত্র স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশ করা আমাদের রুটিন কাজ হিসেবে দেখি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ জায়গাটিতে অনেক এগিয়ে গেছেন। আমি আশা করি সামনের দিনগুলোতে মাননীয় উপাচার্যের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় একটি গবেষণাবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠবে।

 

একুশে সংবাদ.কম/আ.র.প্র/জাহাঙ্গীর