AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

 শিম চাষে ভাগ্য বদল 


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৫:১২ পিএম, ২৪ অক্টোবর, ২০২০
 শিম চাষে ভাগ্য বদল 

কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি শীতকালীন সবজি হিসেবে শিমের আবাদ করছেন কৃষকরা।‘রূপভান’, ‘রানী’- দুটি আগাম জাতের শিমের নাম। চলতি মৌসুমে রূপভান ও রানীর মতো বিস্কুট, অটো, ইপসা-১,২ এবং বারী-১, ২ ও ৪ এ আগাম জাতের শিম চাষ হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।মাচা ভরে গেছে সাদা ও বেগুনি ফুলে ফুলে। এর মাঝে মাঝে
উঁকি দিচ্ছে নতুন শিম।

চোখ জুড়ানো দৃশ্য। আসি আসি করছে শীত। এরই মধ্যে চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলায় শীতকালীন সবজি হিসেবে শুরু হয়েছে শিমের আবাদ শিমের মাচা ভরে গেছে শাদা-বেগুনি ফুলে। আসতে শুরু করেছে শিমও। এসব আগাম জাতের শিম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা অনুকূল আবহাওয়ায় শিমের ভালো ফলন ও বাজারে উচ্চমূল্য পাওয়ায় বেশ খুশি চাষিরাও।


ইতোমধ্যেই আগাম জাতের শিম উঠতে শুরু করেছে বাজারে। ভালো দামও মিলছে। পুষ্ট গাছ ও প্রচুর ফুল ফোটায় চলতি মৌসুমে শিমের ভালো ফলন হবে বলে মনে করছেন চাষিরা। ফলে করোনার দুঃসময়েও তাদের মুখে এখন মিষ্টি হাসি।


জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, এ বছর জেলার চার উপজেলায় মোট ৭১৮ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শিমের আবাদ হয়েছে। যা গতবছরের তুলনায় ৬৮ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ২০৫ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ৩৭১ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩০ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ১১২ হেক্টর জমিতে শিম চাষ করেছেন কৃষকরা।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শিম তুলতে ব্যতিব্যস্ত দেখা গেছে চাষিদের। গ্রামীণ সড়কে দাঁড়িয়ে যতো দূর চোখ যায় শুধুই শিমের সবুজ ক্ষেত। সবুজ পাতা আর বেগুনি ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে আদিগন্ত মাঠ।

ক্ষেতের পরিচর্যা ও নতুন শিম তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। শিম বিকিকিনির জন্য গ্রামে গ্রামে বসেছে অস্থায়ী বাজার। এসব বাজার থেকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নছিমন-করিমন ও ট্রাকবোঝাই করে শিম যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে। এখানে বর্তমানে পাইকারিতে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। প্রথম দিকে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরেও শিম বিক্রি করেছেন বলে জানান কৃষকরা।

দামুড়হুদা উপজেলার ভগিরথপুর গ্রামের চাষি বাদশা মন্ডল বলেন, তার ২ বিঘা জমিতে শিমের লতায় ও ফুলে ভরে গেছে মাচা। ফুল ভরে গেছে প্রতিটি ডগা। ইতোমধ্যে শিম আসতে শুরু করেছে গাছে। প্রথম দিকে প্রচন্ড রোদ ও পোকার আক্রমণের কারণে ফুলে পঁচা লাগতো।

কৃষি বিভাগের পরামর্শে কঠোর পরিশ্রম, নজরদারি, সার ও বালাইনাশক স্প্রে করার পর ফল দেখা দিয়েছে। এখন আর পঁচা লাগে না। একই উপজেলার কালিয়াবকরী গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম জানান, শিম মূলত শীতকালীন সবজি। বেশি দামের আশায় একটু আগেভাগে শিমের আবাদ করেছেন তিনি।

বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কিছুদিন আগেও প্রতি কেজি শিম বিক্রি হতো ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে। বর্তমানে উৎপাদন বাড়ায় কিছুটা কমেছে শিমের দাম। নতিপোতা গ্রামের পাইকারি শিম ব্যবসায়ী সোলায়মান হক জানান, স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে শিম কিনে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে পাঠানো হয়।

ইতোমধ্যেই নতুন শিম পাঠানো শুরু হয়েছে। খুচরা বাজারেও চাহিদা ও দাম ভালো আছে শিমের। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, কৃষকরা এখন সচেতন হওয়ায় যেকোনো সমস্যায় সরাসরি স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শ নেন তারা। সাধারণত আগাম সবজি চাষ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে, অসময়ে এ আবাদ থেকে চাষিরা বাড়তি আয় করতে পারেন। এসময় পোকা মাকড়, শাদা মাছি, শিম ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ বেশি থাকে।

 এবার চলতি মৌসুমেরর শুরুতেও শিম ক্ষেতে ছত্রাক ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলেও কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সুষ্ঠু পরিচর্যায় শেষ পর্যন্ত শিমের ফলন ভালো হচ্ছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার দামও ভালো।নিয়মিত পরিচর্যা ও নজরদারিতে রেখে বালাই নাশক স্প্রে করলে ফলন ভালো পাওয়া সম্ভব। তিনি আরও জানান,শিমের উৎপাদন বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

একুশে সংবাদ/তাশা

Link copied!