সাত মাস আগেই সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প
একুশে সংবাদ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাত মাস আগেই ইরানের শীর্ষ জেনারেল 'কাসেম সোলাইমানিকে' হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মার্কিন বাহিনী বিশ্বাস করে, কয়েক মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুর জন্য ইরানের এ শীর্ষ জেনারেল দায়ী।
এই কারনেই ইরানের শীর্ষ জেনারেল 'কাসেম সোলাইমানিকে' হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।ইরান একটি মার্কিন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার পরেই এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, যদি ইরানের আক্রমনে কোন আমেরিকানের মৃত্যু হয়; তবেই সোলাইমানিকে হত্যায় সুনির্দিষ্ট অভিযান করা যাবে।
ইরাকে ইরানি ছায়া বাহিনীর হামলার জবাবে ট্রাম্পের কাছে যেসব বিকল্প তুলে ধরা হয়, তার মধ্য দিয়ে সেখানে সোলাইমানি হত্যার সিদ্ধান্তকে বেছে নেয়া হয়েছে।
এর আগে ইরাকি ছায়া বাহিনীর হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের এক বেসামরিক ঠিকাদার নিহত হয়েছিলেন। এ ছাড়া মার্কিন সেনাবাহিনীর চার সদস্য আহত হন।
হামলার ক্ষেত্রে পাল্টা প্রতিশোধ আসার যে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল, তা আমলে নেননি ট্রাম্প। তখন তিনি বলেন, তারা যদি আমেরিকানদের ওপর আঘাত হানে, তবেই এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হবে।
সোলাইমানিকে হত্যার অনুমোদনে তোড়জোড় করেছিলেন সাবেক মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার পর বোল্টন তাতে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পরররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই হামলার পক্ষে ছিলেন। ফক্স নিউজকে গত সপ্তাহে তিনি বলেন, বেশ কিছু হামলার ষড়যন্ত্র করেছিলেন সোলাইমানি।
ট্রাম্প বলেন,, বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন এই সোলাইমানি।
এস.স,ম // ১৪.০১.২০২০
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :