প্রযুক্তিগত শিক্ষা ছাড়া একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব হবে না:মোস্তাফা জব্বার
একুশে সংবাদ : ডাক, টেলিযোগাযোগা ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে টিকে থাকার জন্য প্রযুক্তিগত শিক্ষাব্যবস্থা অপরিহার্য।
প্রযুক্তি শিক্ষা রন্ধে রন্ধে প্রবেশ করাতে না পারলে একবিংশ শতাব্দির বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব হবে না।
কারিগরি শিক্ষা নিয়ে যত এগিয়ে যেতে পারব, অগ্রগতি তত ত্বরান্বিত হবে। ইন্টারনেট হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার । শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার সাথে প্রযুক্তির শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় মিরপুর সেনানীবাসে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ প্রফেশনালস (বিইউপি) ক্যাম্পাসে বিইউপি তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত টেকসার্জেন্স ২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, কায়িক শ্রম ও অস্ত্রের শক্তির চেয়ে মেধা অনেক বেশী শক্তিশালী। আমাদের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের যে যাত্রা শুরু করেছে তা এগিয়ে নিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভুমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে তিনি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে।
কৃষিযুগ থেকে শিল্প বিপ্লবের বিবর্তনের ক্রমবিকাশের ধারাবাহিকতা তুলে ধরে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের জন্য কৃষিযুগটা খুবই সমৃদ্ধ ছিল। এর পরের রূপান্তর পৃথিবী শিল্প যুগে প্রবেশ করেছে। যন্ত্রকে ঠেকাতে হরতাল হয়েছে। পরবর্তীতে বুঝতে পেরেছে প্রযুক্তি ঠেকানো যায় না।
আমরা তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেছি। কিন্তু গত দশ বছরে প্রযুুক্তিতে তিনশত ২৪ বছর পিছিয়ে থেকেও বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প যুগে নেতৃত্বের জায়গায় নিয়ে আসতে আমরা সক্ষম হয়েছি। প্রথম শিল্প বিপ্লবের সাথে সমঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষা ডিজিটাল বিপ্লবের উপযোগী শিক্ষায় রূপান্তর শুরু হয়েছে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। ১৯৯৬ সাতানব্বই সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দশ হাজার প্রোগ্রামার বানানোর প্রচেষ্ট নিয়ে ছিলেন।
তারই ধারাবাহিকতায় গত দশ বছরে বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২০৪১ সালের জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ নির্মাণের পথে এখন বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে বলেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিইউপি ভিসি জনাব এমদাদ-উল- বারি বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী পরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রযুুক্তির উদ্ভাবন মেলার স্টল পরিদর্শন করেন।
একুশে সংবাদ // এস.পি.এই // ০৬.০৪.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :