ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের আগমনী বার্তা
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বাংলা দিনপঞ্জিকার হিসেব অনুযায়ী বর্তমানে দেশে চলছে আম্বিনের শেষ দশক এবং ঋতু হিসেবে শরতকাল।
প্রতি বছর অগ্রহায়নের শুরুর দিকে শীতের আগমন ঘটলেও এ জেলায় এবার আশ্বিনের শেষ দশকেই শুরু হয়েছে শীতের আনাগোনা। ভোর ও সন্ধার পর থেকেই পড়তে শুরু করেছে কুয়াশা।
হিমালয়ের খুব নিকটবর্তী হওয়ায় ঠাকুরগাঁও জেলায় শীত নামে বেশ আগে ভাগেই। এবারো এর খুব একটা ব্যাতিক্রম না হলেও শীতের আগমনী বার্তা চলে এসেছে কিছুটা আগেই ।
হাড় কাঁপানো শীত না হলেও এ কুয়াশায় অনুভ’ত হচ্ছে শীতের আমেজ। আর এ শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুুতি হিসেবে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জেলার লেপ-তোশকের কারিগররা।
রোববার ভোরে দেখা গেছে, হালকা কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে রাস্ত-ঘাট। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাস-ট্রাকগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। অনেকেই হালকা গরম কাপড় গায়ে দিয়ে বের হয়েছেন নিজ নিজ গন্তব্যে।
স্থানীয়রা বলছেন, কয়েককদিনের টানা বৃষ্টির কারণে এ বছর এতো আগে শীত অনুভব হচ্ছে। দিনের বেলা কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই নামতে শুরু করে কুয়াশা ।
রাতভর হালকা বৃষ্টির মত টুপটুপ করে কুয়াশা ঝরতে থাকে। বিশেষ করে মাঠে ঘাসের আগায় ও ধানের শীষে জমতে দেখা যায় বিন্দু বিন্দু কুয়াশা। সকালে ঘাসের ওপর দিয়ে হেটে গেলে কাপড় ভিজে যায় সে কুয়াশায়।
জেলার প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুরনো কাঁথা নতুন করে শেলাই করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেক নারী। বাড়ির পাশে গাছের নিচে বসে রং বেরঙের সুতো দিয়ে তারা তৈরী করছেন কাঁথা। পুরনো শাড়ি ও লুঙ্গির কাপড় দিয়ে তৈরী করছেন এসব কাঁথা।
বাস চালক রহিমুল ইসলাম জানান, গত বছর এ সময়ে কোন কুয়াশা লক্ষ্য করিনি। এ বছর দুদিন ধরে সকালে বাস নিয়ে বের হবার সময় হেডলাইড জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে। তাছাড়া হালকা বাতাসের কারণে ঠান্ডাও অনুভুত হচ্ছে।
সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের কহরপাড়া গ্রামের সবজি চাষি আলতাফ আলী বলেন, হালকা শীতের কারণে ফসলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস এর আক্রমণ শুরু করে। এতে ফসলে কীটনাশক প্রয়োাগ করতে উৎপাদন খরচও বেড়ে যায় অনেকটা।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফতাব হোসেন জানান, এ অঞ্চলে এবার কিছুটা আগেই শীতের আগমন ঘটেছে। হালকা শীতের কারণে বিভিন্ন ফসলে রোগ-বালাই দেখা দেওয়াার সম্ভাবনা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আমরাও ফসলের সুরক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছি।
এস.বাপ্পি // ০৬.১০.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :