মাঠপর্যায়ে নিরাপত্তা দিতে পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা
একুশে সংবাদ : রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী প্রচার। বিভিন্ন দলের প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা ছুটতে শুরু করেছে ভোটারের দ্বারে দ্বারে। আর এই ভোটের প্রচারণায় নিরাপত্তা দিতে মাঠপর্যায়ের পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর সব বিভাগের ডিসি থেকে ওসি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানেও নির্বাচনী প্রচারণায় করণীয় নিয়ে মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর পর থেকেই রাজধানীর প্রতিটি থানা এলাকায় কোথায় কী ঘটছে সে খবর রাখছে মাঠপর্যায়ের পুলিশ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিশেষ টিমও। পুলিশের সাদা পোশাকের সদস্যরাও খোঁজখবর রাখছেন। কোন প্রার্থী কখন কোন এলাকায় প্রচারে যাচ্ছেন সে খবরও রাখা হচ্ছে।
ডিএমপির এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনী প্রচার শান্তিপূর্ণ রাখা ও সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ কিছু নির্দেশনা পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ী নিরাপত্তা কৌশল নেওয়া হয়েছে। প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা চাওয়া না হলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর। বিশেষ করে প্রার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রচারাভিযানে সক্রিয় কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপারে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। আরেক কর্মকর্তা বলেন, এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেকে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। এ বিষয়টিও পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
রাজধানীর আসনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ও হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন ঢাকা-১৭ আসনে। এ আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীক নিয়ে আছেন এইচ এম এরশাদ। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে রয়েছেন বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ। এ ছাড়া প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের আলী হায়দার (বাঘ প্রতীক), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের এস এম আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের এস এম আহসান হাবিব (মই), জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান (গোলাপ ফুল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিনুল হক তালুকদার (হাতপাখা), বিকল্পধারা বাংলাদেশের লে. কর্নেল (অব.) ডা. এ কে এম সাইফুর রশিদ (কুলা) ও ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা (সিংহ) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জানা গেছে, প্রার্থীরা গতকাল সকালেই ভোটের প্রচারে নেমে পড়েন। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কর্মীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গুলশান এলাকায় প্রচারাভিযান চালায়। এই প্রচারাভিযানে পুলিশের বিশেষ নজরদারি ছিল।
একুশে সংবাদ // এস.ক.ক // ১২.১২.২০১৮
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :