গাজীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামী ও ২ সন্তান ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছে এক জননী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা মাওনা ইউনিয়নের সিংগারদিঘী গ্রামে। সরেজমিন ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, সিংগারদিঘী গ্রামে সুলতান বেপারীর ছেলে শহর আলী (৩৮) প্রায় ১৫ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী গ্রামের খোকা মিয়ার কন্যা জাহানারা বেগম (২৫) সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর ঘরসংসার করা কালে তারা মুন্নি (৯) ও পুন্নি (৭)নামের ২টি কন্যা সন্তানের জনক-জননী হন। জমি ক্রয় করার সুবাদে উপজেলার কপাটিয়াপাড়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন (৩৫) সাথে পরিচয় হয়। সেই সুবাদে আবুল হোসেন জাহানারার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। বেশ কিছু দিন কথা বার্তার মাধ্যমে এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে তারা। জাহানারা বেগম জানান,আবুল হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক । আবুল আমাকে বিয়ে করার কথা বলে, পরে তার সাথে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। ৭/৯/২০১৮ই সন্ধা অনুমান ৬টার দিকে আমাকে বিবাহ করবে বলে উপজেলার কাওরাইদ গ্রামে তার ফুপুর বাড়িতে নিয়া যায়। ওই খানে যাওয়ার পরও আমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করে আবুল। এবং বিবাহের খরচের কথা বলে আমার গলার চেইন,কানের দুল বিক্রি করার কথা বলে আমাকে মাঝ পথে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় আবুল হোসেন। তার পর আমি আবুলের সাথে যোগাযোগ করলে আবুল আমাকে চেনেনা বলে অনেক খারাপ খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে। এবং আমি এই সববিষয়ে কাউকে কিছু বললে আমাকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। তার পর আমি ১৩/০৯/২০১৮ইং গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আবুলের চাচাত ভাই এবং চেয়াম্যানের মেয়ের জামাতা রতন মিয়া বলেন,আবুলের স্ত্রী ও দুইটি সন্তান রয়েছে এর আগেও কয়েক বার আবুলকে সাবধান করা হয়েছে। ঘটনা সত্য আমি ঘটনা শোনার পর বাড়ীতে খোজ নিয়ে জানতে পারি আবুল বাড়িতে নাই। পুলিশ সুপার গাজীপুর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,আবুল হোসেন জাহানারাকে প্রেম ভালবাসার জন্য কু-প্রস্তাব দিয়ে আসতে থাকে। জাহানারা ওই প্রস্তাবে রাজি না হইলে তার স্বামী সন্তানদের খুনসহ ভিবিন্ন হুমকী দিয়ে আসতে থাকে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আবুল হোসেনের বাড়িতে বিয়ের জন্য গত সাতদিন যাবৎ অনশন করছে জাহানারা বেগম। কিন্তু ঘটনার পরথেকে আবুল হোসেন পলাতক রয়েছে। আবুলের মোবাইল বন্ধ থাকায় অনেক বার চেষ্টা করেও কোনো যোগাযোগ করা যায়নি আবুলের সাথে। এবিষয়ে গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে জাহানারা বেগম। একুশে সংবাদ // এস.সানি //১৫.০৯.২০১৮