কোটা উঠিয়ে দেয়ার সুপারিশ করা হবে : শফিউল আলম
একুশে সংবাদ : কোটা পর্যালোচনা কমিটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন, সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা উঠিয়ে দিয়ে মেধাকে প্রাধান্য দিয়ে সুপারিশ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হচ্ছে ।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত হলো যতদূর সম্ভব কোটা বাদ দিয়ে মেরিটে চলে যাওয়া। এখন আমাদের সময় এসেছে আমরা উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় যাব।কোটা নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি। আমরা মেধাকে প্রাধান্য দিয়ে সব কোটা উঠিয়ে দেয়ার সুপারিশ করব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তবে কোর্টের একটি রায় রয়েছে- মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। যদি খালি থাকে, তবে খালি রাখতে হবে। এটির ব্যাপারে কোর্টের মতামত চাইব, কোর্ট যদি এটিকেও উঠিয়ে দেয়, তবে কোটা থাকবে না।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ রয়েছে। কোর্টের পর্যবেক্ষণ তো বাধ্যতামূলক কিছু নয়- একজন সাংবাদিক বিষয়টি জানাতেই মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা পরিষ্কার নয়। আমরা কোর্টের রায়টা বিশ্লেষণ করেছিলাম। এটা আমরা নিজেরা পুরোপুরি বুঝতে পারছি না। এজন্য কোর্টের মতামত চাওয়া হবে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ২ জুলাই কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে তা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সুপারিশ দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে সরকার।
কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। ৮ জুলাই প্রথম সভা করে কমিটি। পরে কমিটির মেয়াদ আরও ৯০ কার্যদিবস বাড়ানো হয়।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেয়া হয় মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে। বিসিএসে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০, জেলা কোটায় ১০, নারী কোটায় ১০ এবং উপজাতি কোটায় ৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা আছে। এই ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে ১ শতাংশ পদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়োগের বিধান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধও করেন তারা।
একুশে সংবাদ // এস.স,প / ১৩.০৮.২০১৮
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :