প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের মৃত্যুর ৫ বছর পরেও পায়নি ক্ষতিপূরণ
একুশে সংবাদ : ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরকে বহনকারী মাইক্রোবাসের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলে তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ ৫ জন নিহত হন। আহত হন ওই মাইক্রোবাসে থাকা তারেকের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, চিত্রশিল্পী ঢালী আল-মামুন ও তার স্ত্রী দিলারা বেগম জলি এবং তারেকের প্রোডাকশন ইউনিটের সহকারী সাইদুল ইসলাম।
গত বছর ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তারেক মাসুদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে চার কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। রায়ে বলা হয়- চালক, বাস মালিক ও বীমা কোম্পানিকে তিন মাসের মধ্যে ওই অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
এর মধ্যে বাসের চালক দেবেন ৩০ লাখ টাকা, বীমা কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স দেবে ৮০ হাজার টাকা, আর বাকি চার কোটি ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫২ টাকা দেবে তিন বাস মালিক। ক্ষতিপূরণের এই অর্থ পাবেন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, তাদের ছেলে নিষাদ মাসুদ এবং তারেকের মা নুরুন নাহার। মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ চেয়ে ক্যাথরিন মাসুদের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
দুর্ঘটনায় সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মনিরের স্ত্রী মঞ্জুলী কাজী ও ছেলে সুহৃদ মুনীরের করা মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে বাস মালিক, চালক ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে আপিল করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত ২২ জুলাই এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
আদালতে বাস মালিকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। অন্যদিকে ক্যাথরিন মাসুদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। এ ছাড়া রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের পরিবার আজও ক্ষতিপূরণ পায়নি। তার মৃত্যুর ঘটনায় সাড়ে চার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করেন উচ্চ আদালত। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টি চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি না হওয়ায় তারেক মাসুদের পরিবার সেই অর্থ পায়নি।
একুশে সংবাদ // এস.এন.রাজ / ১৩.০৮.২০১৮
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :