AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভারতে ৩৪০০ যুবককে অপহরণ করে বিয়ে


Ekushey Sangbad

০৬:৪৫ পিএম, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৮
ভারতে ৩৪০০ যুবককে অপহরণ করে বিয়ে

একুশে সংবাদ : হিন্দুদের মতে আট ধরনের বিয়ের চল আছে৷ ব্রহ্ম, দৈব, আর্শ, প্রজাপতিয়া, অসুর,গান্ধর্ব, রাক্ষস ও পৈশাচ বিয়ে৷ কিন্তু পাটনাতে আরও এক ধরনের বিয়ের চল আছে৷ তা হল পাকড়াও বিয়ে৷ হিন্দু মতে রাক্ষস বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের জোর করে ধরে এনে ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়৷ কিন্তু কলি যুগে সেই জায়গা নিয়ে নিয়েছে পাকড়াও বিয়ে৷ এক্ষেত্রে মেয়েদের নয়, সাধারণত ছেলেদের ধরে এনে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো হয়৷ এরপর তাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়৷ বিহারে বহুদিন ধরে এই ধরনের বিয়ের চল আছে৷ তথ্য বলছে, গত বছর ৩৪০০ ছেলে পাকড়াও করে বিয়ে দেওয়া হয়৷ প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতের বিহারে পাকড়াও বিয়ে আকছাড় হয়ে থাকে৷ ২০১৭ সালে ৩৪০৫ জন ছেলেকে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছেলের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়৷ গত মাসে পাটনার এক গ্রামে ইঞ্জিনিয়ার ছেলেকে ধরে এনে বন্দুকের নলে বিয়ে দিয়েছিল মেয়ের পরিবার৷ সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে সে গ্রহণ করতে অস্বীকার করে৷ সেই খবর জাতীয় খবরের শিরোনামে চলে আসে৷ পাকড়াও বিয়ের মতো ঘটনা বিহারে উত্তরোত্তর বাড়ছে৷ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুয়ায়ী ২০১৪ সালে পাকড়াও বিয়ের সংখ্যা ছিল ২৫২৬৷ পরের বছর বেড়ে হয় ৩০০০৷ ২০১৬তে তা হয় ৩০৭০৷ পুলিশ জানিয়েছে, সব ক্ষেত্রে হয় ছেলে নয়তো ছেলের পরিবারের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কেন করা হয় পাকড়াও বিয়ে? কারণ হিসাবে দায়ী পণপ্রথা৷ পণের হাত থেকে মুক্তি পেতে ছেলেকে অপহরণ করা হয়৷ মেয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্রকে অপহরণ করে এনে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়৷ অপহরণের জন্য অনেকে গুণ্ডাও ভাড়াও করে৷ এতে এক ঢিলে দুই কাজ হয়৷ প্রথমত পণের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়৷ দ্বিতীয়ত পছন্দসই পাত্রের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়৷ এদিকে যে হারে পাকড়াও বিয়ের সংখ্যা বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার৷ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জেলার সব পুলিশ সুপারদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে৷ বিশেষ করে বিয়ের মরশুমে এই ঘটনা ঘটেই থাকে৷ তাই কোন ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে৷ সূএ : কলকাতা ২৪ একুশে সংবাদ // এস.ক.তা // ০৫.০২.২০১৮
Link copied!