AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

‘সুরের পরিবর্তন বাঞ্ছনীয় নয়, উদ্বেগেরও কিছু নেই’


Ekushey Sangbad

১২:৫১ এএম, মে ২০, ২০১৭
‘সুরের পরিবর্তন বাঞ্ছনীয় নয়, উদ্বেগেরও কিছু নেই’

একুশে সংবাদ : বাংলাদেশের বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবির্ভূত এ প্রথিতযশা শিল্পী বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও সমাদৃত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার রবীন্দ্রসংগীতের গুণী এই শিল্পীকে ‘বঙ্গভূষণ’ সম্মাননায় ভূষিত করেছেন। আগামী ২০ মে, বিকেলে কলকাতার নজরুল মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এ সম্মাননা প্রদান করবেন। ‘বঙ্গভূষণ’ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের দেওয়া বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা। ২০১২ সাল থেকে এই সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সঙ্গে ‘বঙ্গভূষণ’ সম্মাননা পাওয়ার অনুভূতি, রবীন্দ্রসংগীতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাইজিংবিডির এ প্রতিবেদকের কথা হয়। সেই কথোপকথনের অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো। কথোপকথনে ছিলেন প্রতিবেদক রাহাত সাইফুল। ‘বঙ্গভূষণ’ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের দেওয়া বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা যেটি এবার আপনি পাচ্ছেন। কেমন লাগছে? বন্যা: স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে সম্মানের ও আনন্দের। খুবই আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি। একটি ভালো লাগা মনের গহীনে কাজ করছে। সন্মাননা নিতে পশ্চিমবঙ্গ কবে যাবেন? বন্যা: আগামী ২০ মে। বাংলাদেশে রবীন্দ্রসংগীত চর্চার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাই। বন্যা: বাংলাদেশে রবীন্দ্রসংগীতের চর্চা ভালোই হচ্ছে বলে মনে করি। নতুন প্রজন্মের অনেকে এখন রবীন্দ্রসংগীত শিখছে। তবে সংগীত অঙ্গনটা সামগ্রিকভাবে ভালো অবস্থানে নেই। সেই তুলনায় রবীন্দ্রসংগীতের চর্চা ভালোই হচ্ছে। আরো খারাপ হতে পারত। বর্তমান সরকার তো অনেক কিছুই করছে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনেক সহযোগিতা করছে। অনুদানও আগের চেয়ে বেড়েছে। বর্তমান প্রজন্ম সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের কতটা সম্পৃক্ত করতে পারছে বলে মনে করেন? বন্যা: বর্তমান সমাজে এমন একটা পরিবর্তন এসেছে যে, তরুণ প্রজন্ম একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে অন্য কর্মকাণ্ডে কম অংশগ্রহণ করছে। পড়াশোনার বাইরে তারা কিছুই করতে চাচ্ছে না। পরীক্ষায় পাস করতে হবে, ভালো ফল করতে হবে, ভালো চাকরি পেতে হবে, এখন এটাই ওদের লক্ষ্য। একজন ভালো মানুষ হওয়ার জন্য আরো অনেক কিছু প্রয়োজন। পড়াশোনার পাশাপাশি তার সাংস্কৃতিক চর্চা ও তার ঐতিহ্য সর্ম্পকে সচেতন হওয়া জরুরি। এত পড়ার চাপ, এত পরীক্ষা, এত টিচার যার জন্য এগুলোর দিকে তারা মনোযোগ দিতে পারে না। বর্তমান সময়ে জঙ্গিবাদ ও অসহিষ্ণুতা দেখা দিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ এখানে কতটা প্রাসঙ্গিক বলে মনে করেন? বন্যা: আমি মনে করি, সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক। কারণ রবীন্দ্রনাথ সব সময়ই বলেছেন, মনুষ্যত্ব বোধের কথা। জঙ্গিবাদ হচ্ছে ধর্মীয় মৌলবাদ। রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিরুদ্ধে সবসময় বলেছেন। তিনি বলেছেন, পৃথিবীতে মনুষ্যত্ব বোধ ও মানুষের মনুষ্যত্বের ধর্ম হচ্ছে সবচেয়ে বড় ধর্ম। সেই মানবিক গুণাবলি বিকশিত করাটাই শিক্ষাপদ্ধতির প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিৎ। প্রত্যেকটা শিশু-কিশোরের মানবিক গুণাবলি রয়েছে সেগুলো বিকশিত করা দরকার। কিন্তু সেটা হচ্ছে না বলেই এখন এই জঙ্গিবাদ, ড্রাগে আসক্ত হচ্ছে। ছেলেমেয়েদের মাথায় এখন একটা বিষয় রয়েছে- ভালো পড়াশোনা করতে হবে, চাকরি করতে হবে। আর এটা যখন হচ্ছে না, তখনই তাদের মধ্যে হতাশা বাসা বাঁধে। অর্থ উপার্জনটাই হয়ে গেছে এখন মূল মন্ত্র। যেকোনো উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে হবে। অর্থ উপার্জন না করতে পেরে তারা হতাশাগ্রস্ত হচ্ছে। এরপর তারা নেশাগ্রস্ত হচ্ছে এবং জঙ্গিবাদে চলে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদও কিন্তু এক ধরনের হতাশা। এই হতাশা থেকে বের হওয়ার উপায় হিসেবে তারা বেছে নিচ্ছে জঙ্গিবাদ। মানুষকে ভালো না বেসে হিংসার পথে চলে যাচ্ছে। বিষয়টা এমন হয়েছে যে, হিন্দু হলেই খারাপ, বৌদ্ধ হলেই খারাপ। এটা তো মনুষ্যত্ব বোধের মধ্যে পড়ে না। মানুষ হচ্ছে- চিন্তাশীল একটি জীব। যে চিন্তা করতে পারবে, তর্ক করতে পারবে, যুক্তি দিতে পারবে-সেই মানুষ। জঙ্গিবাদিরা যুক্তির ধার ধারে না। এটা তো এক ধরনের মানসিক বিকারগ্রস্ততা। বর্তমানে আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে। এতে দেখা গেছে, গানের ধরণ পাল্টে যাচ্ছে। বিষয়টা কীভাবে দেখছেন? বন্যা: এটা কোনো সমস্যা না। সময়ের সাথে সব কিছুই পরিবর্তন হবে। আগে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ছিল না। এখন ইলেকট্রনিক যন্ত্র এসেছে। এতে অসুবিধার কিছু নেই। অনেক সময় সুরের পরিবর্তন করেও রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া হচ্ছে। এটা কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন? বন্যা: সুরের পরিবর্তন বাঞ্ছনীয় নয়, তবে উদ্বেগেরও কিছু নেই। একজন-দুজন দেখানোর জন্য কিছু একটা করেন। কিন্তু তা স্বীকৃতি পাচ্ছে না আর মানুষও গ্রহণ করছেন না। রবীন্দ্রসংগীতের ব্যবহার আমাদের চলচ্চিত্রে খুব একটা দেখা যায় না। এর কারণ কী বলে মনে করেন? বন্যা: চলচ্চিত্রে যে ধরনের গল্প থাকে তার সঙ্গে রবীন্দ্রসংগীত যুক্ত করতে হলে যারা চলচ্চিত্র তৈরি করেন তাদের মনন ও চিন্তার পরিধির একটা বিষয় থাকে। যেমন- সত্যজিৎ রায় তার সিনেমায় রবীন্দ্রসংগীত ব্যবহার করেছেন। চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রসংগীত ব্যবহার করতে হলে ঐ মেধার পরিচালক প্রয়োজন। একুশে সংবাদ // পপি // রাজি // ২০.০৫.১৭
Link copied!