রাইস্ ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন ও প্রদর্শনী মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত ।
ফরিদপুর প্রতিনিধি: খামার যান্ত্রিকীকরার মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায় এর আওতায় রাইস্ ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন ও প্রদর্শনী মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুর কষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে বিকেলে শহর তলীর মুন্সীবাজার এলাকায় রাইস্ ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধারেন চারা রোপন ও প্রদর্শনী মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুর কষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কষিবিদ জি. এম. আবদুর রউফ।
সুভাষ চন্দ্র গুহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠত মাঠ দিবসে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবুল বাসার, কৃষিবিদ খিরদ চন্দ্র রায়, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন, কৃষিবিদ আব্দুর রা, আব্দুর রব ব্যাপারী।
মাঠ দিবসে শতাধিক কৃষক ও কৃষানী উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, রাইস্ ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান রোপন করলে অল্প সময় লাগে এবং খরচ ও কম হয়। কৃষকরা জানায় এক বিঘা জমিতে লেবার (কামলা দিয়ে) ধান রোপন করতে খরচ হয় ২হাজার থেকে ২৫শ টাকা সময়ও লাগে অনেক। আর রাইস্ ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান রোপন করলে ৪শ থেকে ৫শ টাকা লাগ। আর ৪০মিনিটে এক বিঘা জমির ধান লাগানো সম্ভব। এবং ধানের ফলনও বেশী হয়।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবুল বাসার বলেন, আমরা কৃষিকে লাভ জনক করতে চাচ্ছি। কৃষিকে আমরা যদি লাভ জনক করতে না পারি তাহলে এদেশের কৃষি ও কৃষক বাঁচয়ে রাখা যাবেনা। সেই কৃষিকে লাভ জনক করতে হলে আমাদের যান্ত্রিকীকরনের বিকল্প নেই। লেবার দিয়ে ধান রোপন করতে গেলে লেবার কষ্ট অনেক বেশী পড়ে যায়। এর ফলে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়। আমরা কৃষকের কথা চিন্তা করেই সকল ক্ষেত্রে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ব্যবহার করতে কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে হবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
একুশে সংবাদ ডটকম // এম // ২৪.০৮.১৬
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :