AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে সার্বিক পাস ৭৪.৭০%,জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮ হাজার ২৭৬ জন ।


Ekushey Sangbad

১০:১৮ এএম, আগস্ট ১৯, ২০১৬
শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে সার্বিক পাস ৭৪.৭০%,জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮ হাজার ২৭৬ জন ।

একুশে সংবাদ: গত বছরের ফল বিপর্যয় কেটে এবার পাসের হার ৫ শতাংশ বেড়েছে। শুধু পাসের হারে নয়, জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাসহ সব সূচকেই গত বারের চেয়ে এবার উন্নতি হয়েছে। বেড়েছে শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা, শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কমেছে। তবে ফল ভালো হলেও এবার অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৩ লাখ ২২ হাজার ২৩৯ শিক্ষার্থী। যাদের আবার আগামী বছর পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। দেশের দশটি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছর অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার এ ফল গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে একযোগে প্রকাশ করা হয়। এবার ১০টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। গতবার এ হার ছিল ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। সার্বিক পাসের হার বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে যশোর শিক্ষাবোর্ড। গতবার এ বোর্ডে পাসের হারে সবচেয়ে বেশি বিপর্যয় ছিল (৪৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ)। এবার এ বোর্ডে পাসের হার দ্বিগুণ হয়েছে। এবার পাসের হার ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। গতবারের মতো এবারও সব বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পাসের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি গতবছরের চেয়ে এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তিও বেড়েছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮ হাজার ২৭৬ জন। গতবার এ সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৮৯৪ জন । ৫ বছরের পাসের হার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১১ সালে পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ০৮ শতাংশ, ২০১২ সালে পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ২০১৩ সালে ৭৪ দশমিক ৩ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ২০১৫ সালে পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ । গতকাল দুপুর ১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এর আগে সকাল ১০টায় গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইনসহ শিক্ষা বোর্ডসমূহের চেয়ারম্যানরা। শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস : গতকাল দুপুরে কলেজগুলোর পাশাপাশি ওয়েবসাইটেও ফল প্রকাশ করা হয়। এছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএস-এর মাধ্যমেও শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ফল জানতে পারে। সকাল থেকেই মুখরিত হয়ে ওঠে প্রতিটি কলেজ প্রাঙ্গণ। ফল প্রকাশের পর অভিভাবক, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে পাসের আনন্দের বৃত্ত তৈরি করেন শিক্ষার্থীরা। বাদ্য বাজিয়ে, হৈ-হুল্লোড় করে হাতে হাত রেখে নেচে-গেয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পরীক্ষার ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই মিষ্টির দোকানগুলোতে মিষ্টি কেনার ধুম পড়ে যায়। গতকাল একই সঙ্গে ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসির পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আলিম এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) ডিপ্লোমা ইন কমার্স এবং এইচএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার ফলও প্রকাশিত হয়েছে। আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে ৮ হাজার ৩৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২ লাখ ৩ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থী এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে পাস করেছে ৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ জন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৪১৭ জন ছাত্র এবং ৪ লাখ ২১ হাজার ৭৩৩ জন ছাত্রী। দশ শিক্ষা বোর্ডের চিত্র ঢাকা বোর্ড : পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৯ জন। পাস করে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫০৬ জন ছাত্র এবং ১ লাখ ২৩ হাজার ৩০০ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ হাজার ১১০ জন। রাজশাহী বোর্ড: পাসের হার ৭৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। এবার ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৮০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৮৭ হাজার ৩০১ জন। এর মধ্যে ৪৬ হাজার ৩১৮ জন ছাত্র এবং ৪০ হাজার ৯৮৩ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৭৩ জন। কুমিল্লা বোর্ড: পাসের হার ৬৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এবার ১ লাখ ৮ হাজার ৩৭৩ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করে ৬৯ হাজার ৮৯৫ জন। এর মধ্যে ৩৩ হাজার ৯৯৬ জন ছাত্র এবং ৩৫ হাজার ৮৯৯ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯১২ জন। যশোর বোর্ড: পাসের হার ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। এবার ১ লাখ ৩০ হাজার ৫৭২ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। ১ লাখ ৮ হাজার ৯২৯ জন পাস করে। এর মধ্যে ৫৬ হাজার ৬২৫ জন ছাত্র এবং ৫২ হাজার ৩০৪ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৫৪৬ জন। চট্টগ্রাম বোর্ড : পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। এবার ৮৬ হাজার ৭১৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৫৬ হাজার ১৬ জন। এর মধ্যে ২৭ হাজার ৪২৯ জন ছাত্র এবং ২৮ হাজার ৫৮৭ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ২৫৩ জন। বরিশাল বোর্ড: পাসের হার ৭০ দশমিক ১৩ শতাংশ। এবার ৬১ হাজার ৫৩৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৪৩ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে ২১ হাজার ৯০৭ জন ছাত্র এবং ২১ হাজার ২৫০ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৭৪ জন। সিলেট বোর্ড: পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এবার ৬৩ হাজার ৯৫৯ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করে ৪৩ হাজার ৮৭০ জন। এর মধ্যে ২০ হাজার ৭৭৯ জন ছাত্র এবং ২৩ হাজার ৯১ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৩০ জন। দিনাজপুর বোর্ড: পাসের হার ৭০ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এবার ১ লাখ ৩ হাজার ৯৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করে ৭২ হাজার ৮২৯ জন। এর মধ্যে ৩৭ হাজার ১৫৬ জন ছাত্র এবং ৩৫ হাজার ৬৭৩ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৮৯৯ জন। মাদ্রাসা বোর্ড: পাসের হার ৮৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ বোর্ডের অধীনে এবার ৮৯ হাজার ৬০৩ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করে ৭৯ হাজার ২০ জন। এর মধ্যে ৪৫ হাজার ৬৮৭ জন ছাত্র এবং ৩৩ হাজার ৩৩৩ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৪১৪ জন। কারিগরি বোর্ড: পাসের হার ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ বোর্ডের অধীনে এবার ১ লাখ ২ হাজার ২৪৮ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করে ৮৬ হাজার ৪৬৯ জন। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬০ হাজার ১৯ জন ছাত্র এবং ২৬ হাজার ৪৫০ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৫৪৭ জন।       একুশে সংবাদ ডটকম   //  এম  //  ১৯.০৮.১৬
Link copied!