বাংলার পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বিদেশি ভাষাকে
একুশে সংবাদ: শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত প্রচলিত ধারণা বদলে দিচ্ছে যশোরের বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়। শিক্ষার সঙ্গে শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমের সম্পর্ক, সামাজিক অবক্ষয়ের ক্ষতিকর প্রভাব ও পরিবার ব্যবস্থার দুর্বলতাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবন করেছে ভিন্নধর্মী একটি শিখন পদ্ধতি। যা তাদের ভাষায় ‘জীবনবান্ধব শিক্ষা’।
আর এ শিক্ষায় বাংলার পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বিদেশি ভাষাকে। বলা হচ্ছে, ‘জীবনের বাংলা জীবিকার জন্য ইংরেজি’।
জানা যায়, জেলা শহরে গড়ে ওঠা এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে এক লাখের বেশি বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব অবকাঠমো। যা বেসরকারি পর্যায়ে দেশের বৃহত্তম।
জীবনবান্ধব শিক্ষা বাস্তবায়নের যাবতীয় উপকরণ রয়েছে ক্যাম্পাসে। যাতে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানেই বেশি সময় দিতে পারে। পাঠ্য অধ্যয়নের পাশাপাশি ১৯টি শিক্ষা সহায়ক ক্লাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখানো হয় কম্পিউটার, ৭টি বিদেশি ভাষা।
শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ক্যাডেট কোর, ব্যান্ডপার্টি, সাইবার লাইব্রেরি, পত্রিকা পড়ার স্থান ও ৭টি সেবা সেন্টার। পাবলিক রিলেশনস্ সেন্টার প্রচার-প্রচারণার দায়িত্ব পালন করছে। এ সেন্টার থেকে কলেজের মাসিক মুখপত্র ‘বিসিএমসি ক্যাম্পাস’ গত ৭ বছর ধরে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। এছাড়াও প্রকাশ হচ্ছে ক্যালেন্ডারসহ অন্যান্য প্রকাশনা।
মেডিকেল সেন্টার দিচ্ছে ফ্রি চিকিৎসা সেবা, স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার সেন্টার শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যাসহ অন্যান্য সামাজিক সমস্যার সমাধান করছে। জব সেন্টার শিক্ষার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করছে। বিপথগামী শিক্ষার্থীদের সুপথে ফেরানোর জন্য রয়েছে স্টুডেন্স গাইডেন্স অ্যান্ড ইমপ্রুভমেন্ট সেন্টার, রিক্রিয়েশন সেন্টার চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করছে এবং স্টুডেন্টস ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং সেন্টার চাকরি প্রস্তুতিতে সহযোগিতা করছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ২০০ শিক্ষকের মধ্যে ৬০ জন এমএসসি/বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার, যাদের ১০ জন ডিএসসি/পিএইচডি ডিগ্রিধারী। এসব শিক্ষকরা নিবিড় ও তদারকি পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদান করেন। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক যোগসূত্র স্থাপনের জন্য চালু রয়েছে গাইড টিচার পদ্ধতি।
প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, শহীদ মিনার, নিউজ পেপার কর্ণার, ফ্রি ইন্টারনেট, জিম, রেস্টুরেন্ট, স্টুডিও, মোবাইল ব্যাংকিং, নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক নিরাপত্তা, গেস্ট রুম, হল রুম, সেমিনার রুম ও অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাসহ আরো অনেক কিছু।
মেধাবী ছাত্রদের জন্য রয়েছে মাসিক ১০০০ টাকা ও ৮০০ টাকা হারে শিক্ষা বৃত্তি। ইংরেজিতে পারদর্শীদের জন্য রয়েছে মাসিক ৫০০ টাকা পুরস্কার।
এসএসসিতে কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৩টি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স ও এইচএসসির পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে ৬টি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স।
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে আন্তর্জাতিকমান নিশ্চিত করায় ২০১৫ সালে ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি অর্জন করছে আইএসও ৯০০১ সনদ।
একুশে সংবাদ ডটকম/ক/২৮/০৬/১৬
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :