AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফুলবাড়ীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে


Ekushey Sangbad

০১:৪৯ পিএম, মে ২, ২০১৬
ফুলবাড়ীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে

মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গত কয়েক দিন থেকে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ। বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে ধানের বাজার মুল্য৷ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.টি.এম হামিম আশরাফ জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে আধুনিক পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করেছে কৃষকেরা।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে বোরো ক্ষেতে কঞ্চি ও গাছের ডাল পুঁতে বিকল্প উপায়ে পোকা-মাকড় নিধনে কৃষকদের উৎসাহ প্রদান, সময়মত পোকা দমনের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ এবং মাঠ পর্যায়ে ব্লক সুপারভাইজারদের সার্বক্ষণিক তদারকি করার ফলে এবং কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ এখন পর্যন্ত হানা না দেয়ায় এই উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান, চলতি বছর উপজেলার ১৩ হাজার ৩শ’ ৭০হেক্টর (৩৩ হাজার ২৩ একর) জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৩ হাজার ৫৭০ হেক্টর (৩৩ হাজার ৫১৮একর) জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ২শ’ হেক্টর বেশী। একর প্রতি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা শুকনা ধান ৩৯মণ নির্ধারণ করা হলেও কৃষকরা প্রতি একরে ৫০/৬০মণ ধান উৎপাদন করছেন। আজ সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছ, ধান কাটা-মাড়াই কাজে ব্যস্ত কৃষক৷ কিন্তু রাঙ্গামাটি গ্রামের কৃষক মমিনুল ইসলাম ও পুখুরী গ্রামের কৃষক আব্দুল গফুর মন্ডল জানায় বোরো ধান চাষ করতে একর প্রতি খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা, ফলনও হয়েছে বাম্পার, একর প্রতি ৫০ থেকে ৬০ মণ (৪০ কেজিতে ১মণ) ৷ কিন্তু বর্তমান বাজার মূল্য বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা মণ দরে৷ যার ফলে কৃষকরা বাম্পার ফলন ফলানোর পরেও উৎপাদনের খরচ ঘরে তুলতে পারছেনা৷ এক্ষেত্রে কৃষকরা প্রতি একরে ৬ হাজার টাকা লোকসান গুনছেন। একই কথা বলেন, মালঞ্চার গ্রামের সাহেদ আলী, বাসুদেবপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলী৷ আবার বর্গাচাষী কৃষক জমি মালিকদের ইজারার টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে দ্বিগুণ লোকসানের শিকার হচ্ছেন। মহেশপুর গ্রামের আফছার আলী বলেন ধান আর চাষ করা যাবে না ক্ষেতের ধানের অর্ধেকের মতো চলে যাচ্ছে, ধান কাটার মজুরদের হাজিরা দিতে তিনি জানান, এক একর জমিতে ধান হয়েছে ৬০ মন বা ৩০ বস্তা যার বাজারে দাম মাত্র ২৪ হাজার টাকা কিন্তু এক একর জমির ধান কাটা মাড়া করতে মজুরের হাজিরা দিতে হচ্ছে ৯ হাজার টাকা৷ এছাড়া এতদিনের শ্রম খরচতো আছে৷ তাহলে শুধু ধান চাষ করে টাকা লোকশান করার দরকার কি? জাতীয় ক্ষেতমজুর সমিতির নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবলু বলেন, আমাদের দেশ কৃষি নির্ভরশীল দেশ৷ কিন্তু আজো কৃষকদের রক্ষা করার কোন পদক্ষেপ নেয়নি কোন সরকার৷ এই কৃষকদের রক্ষা করতে না পারলে এক সময় কৃষক শ্রেনী ধ্বংস হয়ে যাবে৷ একুশে সংবাদ /এস/০২-০৫-১৬
Link copied!