AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আল-কায়েদার হালচাল ওসামার পরে


Ekushey Sangbad

১২:৩৮ পিএম, মে ২, ২০১৬
আল-কায়েদার হালচাল ওসামার পরে

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতাপ্রধান ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর পর জঙ্গি সংগঠনটি আর টিকতে পারবে না বলে অনেকের ধারণা ছিল। সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত করে আল-কায়েদা টিকে আছে। তারা এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক স্থানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালায় আল-কায়েদা। নজিরবিহীন ওই হামলায় বিশ্ববাসী হতবাক হয়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গিগোষ্ঠীটির মূল উৎপাটনে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। ৯/১১-এর পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ব্যাপক সামরিক অভিযান সত্ত্বেও আল-কায়েদা তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়। ১০ বছর ধরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হন্যে হয়ে ওসামাকে খোঁজে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন। উপরন্তু, গোপন স্থান থেকে সময়-সময় হুমকির বার্তা দিয়ে সবাইকে সন্ত্রস্ত করে রাখেন তিনি। ২০১১ সালের মে মাসের শুরুতে ওসামাকে পেয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের গোপন আস্তানায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর ঝটিকা অভিযানে নিহত হন ওসামা। তাঁর মৃত্যু আল-কায়েদার জন্য নিঃসন্দেহে মারাত্মক একটি ধাক্কা ছিল। কেউ কেউ মনে করেছিলেন, যোগ্য উত্তরসূরি অভাবে এবার বুঝি আল-কায়েদার বিনাশ হবে। ওসামা নিহত হওয়ার পর ২০১১ সালের ১৬ জুন আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে আল-কায়েদার নতুন নেতা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। জাওয়াহিরিকে আগে থেকেই আল-কায়েদার তাত্ত্বিক গুরু মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন তিনি। আল-কায়েদাপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে জঙ্গিদের ঐক্যের ডাক দেন জাওয়াহিরি। নতুন করে হামলার হুমকি দেন তিনি। সংগঠনকে বিস্তৃত করারও উদ্যোগ নেন। তবে ওসামার মতো ত্রাস তৈরি করতে পারেননি তিনি। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আবির্ভাব ঘটে। আইএসের চরম নৃশংসতায় আল-কায়েদার নাম কিছুটা চাপা পড়ে। তবে তারা থেমে থাকেনি। দেশে দেশে তাদের হামলায় অনেকেরই প্রাণ গেছে। ২০১২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লিবিয়ার বেনগাজিতে মার্কিন কনস্যুলেটে হামলা চালায় আল-কায়েদা। এতে দেশটির রাষ্ট্রদূতসহ চার মার্কিন নাগরিক নিহত হন। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় মার্কিন কূটনৈতিক মিশনে আরও হামলার আহ্বান জানায় আরব উপদ্বীপের আল-কায়েদা (একিউএপি)। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আল-কায়েদা ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের তৎপরতায় অনেক প্রাণ ঝরেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনে আল-কায়েদা তাদের তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাওয়াহিরি আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা গঠনের ঘোষণা দেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ফ্রান্সের প্যারিসে বিতর্কিত ব্যঙ্গ পত্রিকা ‘শার্লি এবদো’র কার্যালয়ে রক্তক্ষয়ী হামলার দায় স্বীকার করে আল-কায়েদার ইয়েমেনি শাখা। ওই হামলায় সাংবাদিকসহ ১২ জন নিহত হন। আল-কায়েদার ইয়েমেনি শাখার দাবি, জাওয়াহিরির নির্দেশে ওই হামলা চালানো হয়। ওসামা নিহত হওয়ার পরও আল-কায়েদাকে দমন করতে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাম ঝরে। এই সময় মার্কিন হামলায় আল-কায়েদার অনেক নেতা ও সদস্য নিহত হয়েছে। তবু আল-কায়েদা তাদের নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে। একুশে সংবাদ- ২/০৫/১৬
Link copied!