AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

টাই নয়, জিতে যাব


Ekushey Sangbad

১১:১৩ এএম, এপ্রিল ২৫, ২০১৬
টাই নয়, জিতে যাব

একুশে সংবাদ : শেষ বলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের দরকার ৭ রান। স্ট্রাইকে তাইজুল ইসলাম। বিকেএসপি যেন থমকে গেছে মুহূর্তের জন্য। তীব্র দাবদাহে এমনিতেই দরদরিয়ে ঘামছে সবাই। ঘাম যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে স্নায়ুক্ষয়ী ওই মুহূর্ত। মাঠের বাইরে রূপগঞ্জ শিবির থেকে একজন হাঁক দিলেন, ‘তাইজুল ছক্কা মার, ম্যাচ টাই হবে।’ সঙ্গে সঙ্গে পাশ থেকে একজন সংশোধনী দিলেন,!এই ম্যাচ টাই হলে সেটা জেতার সমান।’ শেষ ওভারটা করছিলেন ভিক্টোরিয়ার পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বী। শেষ বলটা করার আগে একটু সময় নিলেন। তাতে কোনো লাভ হলো না। ক্রিজ থেকে বেরিয়ে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারলেন তাইজুল। ছক্কা! ম্যাচ টাই! শেষ বিকেলে রূপগঞ্জ-ভিক্টোরিয়া ম্যাচটি যে এমন রোমাঞ্চের ডালি সাজিয়ে বসবে, কে ভেবেছিল! রূপগঞ্জের ড্রেসিংরুম থেকে একে একে ছুটে বেরোলেন সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, মোশাররফ হোসেন, জহুরুল ইসলাম; কোচ খালেদ মাসুদও। কেউ যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না ম্যাচ টাই হয়েছে! জটলার মধ্যে কাকে যেন তাইজুল বললেন, ‘দেখছেন তো, আমি কিন্তু ব্যাটিংও পারি!’ সত্যি ভেবেছিলেন, শেষ বলে ছক্কা মারতে পারবেন? ফেরার সময় তাইজুলের মুখে বিস্তৃত হাসি, ‘আত্মবিশ্বাস ছিল। আর বলটাও ছিল মারার।’ রূপগঞ্জ যখন জয়সমতুল্য টাই নিয়ে আনন্দ করছে, ভিক্টোরিয়া দলে তখন হতাশার আঁকিবুঁকি। ম্যাচ তারা হারেনি। কিন্তু ৩১৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে ১২৭ রানে প্রতিপক্ষের ৬ উইকেট ফেলে দেওয়ার পরও যদি জেতা না যায়, সেটা তো হারের মতোই। সেই হতাশা চেপে রেখে ম্যাচের রোমাঞ্চকেই বড় করে দেখছেন ভিক্টোরিয়ার মুমিনুল হক, ‘ম্যাচটা আসলেই অসাধারণ হয়েছে।’ ম্যাচের ছবি পাল্টে দিতে সবচেয়ে বড় অবদান রূপগঞ্জের অধিনায়ক মোশাররফ ও অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলামের। সপ্তম উইকেট জুটিতে এই দুজনের ১০৯ রানের জুটিটিই সাজিয়ে দিয়েছে অমন রোমাঞ্চকর সমাপ্তির মঞ্চ। ম্যাচের রং বদলে দিতে আলাউদ্দিন বাবু-মোশাররফের অষ্টম উইকেট জুটিতে ৪৯ রানও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে শেষ পর্যন্ত সব ছাপিয়ে উজ্জ্বল শেষ উইকেট জুটিতে তাইজুল-আবু হায়দারের ১৬ বলে ২৪ রান। আরও নির্দিষ্ট করে বললে তাইজুলের ওই ছক্কা। এক ছক্কায় ম্যাচের অবিসংবাদিত নায়ক হয়ে গেলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তবে ভাগ্যের ছোঁয়াও পেয়েছেন তাইজুলরা। ৪৯তম ওভারে ক্যাচ উঠিয়েও বেঁচে গেছেন তাইজুল-হায়দার দুজনই। যদিও আনুষ্ঠানিক ম্যাচসেরা হয়েছেন ভিক্টোরিয়ার সেঞ্চুরিয়ান আল আমিন জুনিয়র। ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’ নিয়ে যখন তিনি ড্রেসিংরুমে ফিরছেন, পেছন থেকে রূপগঞ্জের ওপেনার সৌম্য একটু রসিকতাই করলেন, ‘এই উইকেটে বোলাররা বেশি কষ্ট করেছে আর পুরস্কার পেলি তুই!’ চেনা মাঠ, ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে আল আমিনের মতো একটা অসাধারণ ইনিংস খেলার সুযোগ সৌম্যরও ছিল। ১০ রানে আউট হয়ে সুযোগটা হাতছাড়াই করেছেন বাঁহাতি ওপেনার। তবে এমন উইকেটে পেশাদার ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট পেয়ে উচ্ছ্বসিত রূপগঞ্জের পেসার আবু হায়দার, ‘ম্যাচটা হারলে কষ্ট পেতাম। আমাদের চেষ্টা বৃথা যেত। এখন ভীষণ ভালো লাগছে।’ আবু হায়দারের মতো ভালো লেগেছে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠের চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা শ খানেক দর্শকেরও। এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচ তো আর রোজ রোজ দেখা যায় না! একুশে সংবাদ ডটকম //এ// ২৫-০৪-১৬
Link copied!