স্বর্ণবাবা, শরীরে তাঁর ১৫ কেজি সোনা
ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে চলমান এবারের আর্ধ কুম্ভমেলায় এখনো কোনো নাগা সন্ন্যাসী চোখে পড়েনি। ঝুনা আখড়ার কোনো বাবাও চোখে পড়েনি, যারা মেলায় বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করে। তবে মেলা যে একেবারেই ম্যাড়ম্যাড়ে, তা বলা যাবে না। কারণ, চোখে পড়ে নানা ধরনের সাধু। এমনই একজন ‘স্বর্ণবাবা’।
স্বর্ণবাবার সাগরেদরা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানান, তিনি সাড়ে ১৫ কেজি স্বর্ণালংকার পরে ঘুরে বেড়ান। ওই পরিমাণ সোনার বাজারমূল্য তিন কোটি রুপির বেশি। গঙ্গাজলে স্নানের সময় স্বর্ণবাবার গায়ে সব স্বর্ণালংকারই জড়ানো থাকে।
আর্ধ কুম্ভমেলার একটি ঘাটে স্বর্ণবাবা তাঁর সাগরেদদের নিয়ে স্নান করেন। ওই সময় তাঁর গায়ে থাকা স্বর্ণালংকারের মধ্যে ছিল একগাদা সোনার লকেট, বাহু বন্ধনী, প্রতিটি আঙুলে ভারী আংটি। এ ছাড়া স্বর্ণবাবার হাতে থাকে বিশেষভাবে তৈরি ২৭ লাখ রুপি মূল্যের হীরাখচিত ঘড়ি।
সোনার প্রতি স্বর্ণবাবার আকর্ষণ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে সাগরেদরা বলেন, সোনা যেমন দামি, তেমনি দুর্লভ। একই রকম হলেন তাঁদের গুরু। তাই তাঁকে জড়িয়ে রাখা হয় স্বর্ণালংকারে। স্বর্ণবাবার ব্যক্তিসত্তার পরিচয় হলো সোনা।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, স্বর্ণবাবার আসল নাম সুধীর কুমার মাকন্দ। আগে তিনি ছিলেন দিল্লির একজন তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী। পোশাক ব্যবসা থেকে সন্ন্যাসী হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে স্বর্ণবাবা বলেন, পোশাক ব্যবসায়ী থাকা অবস্থায় তিনি পাপ করেছেন। যে পাপের মাশুল দিচ্ছেন সন্ন্যাসী জীবনযাপনের মাধ্যমে। একই সঙ্গে অভাবী পরিবারের মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেন এই সন্ন্যাসী। এ ছাড়া বিভিন্ন সমাজসেবায়ও অংশ নেন তিনি।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :