AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কি ভাবে অ্যালার্জি নির্নয় করবেন


Ekushey Sangbad

১২:২০ পিএম, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
কি ভাবে  অ্যালার্জি নির্নয় করবেন

একুশে সংবাদ.কম : ওষুধ দিয়ে অ্যালার্জির উপসর্গ দমানো যায়। কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ করা যায় না। উপসর্গ কমাতে হলে অ্যালার্জির কারণ জানতে হবে। অ্যালার্জি টেস্ট করা প্রয়োজন। কোনো জিনিস যখন শরীরে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া বাড়িয়ে দেয় তখন তাকে অ্যালার্জেন বলা হয়। তাই টেস্ট প্রয়োজন। কাদের অ্যালার্জি টেস্ট করা প্রয়োজন- বয়স্ক বা শিশু যেই হোক না কেন, যারা অ্যালার্জিতে আক্রান্ত যেমন : অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বা নাক দিয়ে পানি ঝরা, * এটোপিক ডার্মাটাইটিস বা ত্বকে চুলকানি, * আর্টিকেরিয়া বা ত্বকে ফুলে চাকা হয়ে যাওয়া, * অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস বা চোখ লাল হওয়া। অ্যালার্জি টেস্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ অ্যালার্জি টেস্ট নির্ধারণ করে দেয় রোগীর কিসে অ্যালার্জি হচ্ছে এবং কিসে অ্যালার্জির আশঙ্কা নেই। অ্যালার্জি টেস্টের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। নিম্নে কিছু আলোচনা করা হলো। স্কিন প্রিক পদ্ধতি : এ পদ্ধতিতে অ্যালার্জেন রোগীর ত্বকের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। যদি রোগীর অ্যালার্জি থাকে, তাহলে তার শরীরে নির্দিষ্ট ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। অ্যালার্জি রোগীর শরীরে অ্যালার্জি এন্টিবডি থাকে, যার নাম ইমুনোগ্লোবিউলিন-ই বা আইজি-ই। এ দ্রব্যটি রোগীর শরীরের মাস্ট কোষকে সক্রিয় করে তোলে, ফলে মাস্ট কোষ কিছু রাসায়নিক দ্রব্য উৎপাদন করে, যাকে বলা হয় কেমিক্যাল মেডিয়েটর বা রাসায়নিক মাধ্যম। এ রকম একটি দ্রব্য হচ্ছে হিস্টামিন। হিস্টামিনের জন্য অ্যালার্জির জায়গায় ত্বক ফুলে ওঠে ও লাল হয়। স্ক্যাচ টেস্ট : এ টেস্ট সব সময় করা হয় না। এ পরীক্ষার সময় রোগীর শরীর বা ত্বকে অাঁচড় কাটা হয়। অাঁচড়ের ক্ষতের ওপর অ্যালার্জেন দেওয়া হয়। চ্যালেঞ্জ টেস্ট : এ ক্ষেত্রে সন্দেহকৃত অ্যালার্জেন রোগীকে খাইয়ে দেওয়া হয়। খাদ্য অ্যালার্জিতে এ টেস্ট করা হয়। এ পরীক্ষা করার সময় রোগীর পাশে ডাক্তার উপস্থিত থাকতে হবে। রক্তের আরএএসটি (রাস) টেস্ট : এটির পুরো নাম রেডিও অ্যালারগোসোরবেন্ট টেস্ট। এ পরীক্ষার জন্য রক্ত দিতে হয়। এতে অ্যালার্জেনের কারণ বের করা যায়। অল্প বয়স অর্থাৎ ৫ বছরের কম, বৃদ্ধ রোগী এবং স্কিন প্রিক টেস্ট করতে ভয় পান তাদের জন্য প্রযোজ্য। লেখক : অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ এবং সিইও,অ্যালার্জি ও অ্যাজমা সেন্টার, ঢাকা একুশে সংবাদ ডটকম //এম আরফি//১৪/১০/২০১৫
Link copied!