AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্রে পেঁয়াজের ৫টি জাত উদ্ভাবন


Ekushey Sangbad

০৭:৩৭ পিএম, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫
বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্রে পেঁয়াজের ৫টি জাত উদ্ভাবন

বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্রে পাঁচটি নতুন জাত উদ্ভাবনের পরও জেলায় পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে ছয় হাজার মেট্রিক টন। নতুন জাতগুলো হলো বারী পেঁয়াজ -১, ২, ৩, ৪, ৫। এর মধ্যে তিনটি গ্রীষ্মকালীন এবং দুটি শীতকালীন বীজ রয়েছে। বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, পেঁয়াজের ঘাটতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বগুড়ায় শিবগঞ্জে অবস্থিত মসলা গবেষণার প্রধান কেন্দ্রে পেঁয়াজের গবেষণা করে নতুন বারী জাতের পাঁচটি জাত উদ্ভাবন করা হয়। তাদের গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে দেশে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীতে এখন পিয়াজ উৎপাদন সম্ভব। নতুন উদ্ভাবিত পিয়াজের নামকরণ করা হয়েছে, বারী (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট) অনিয়ন ১,২,৩,৪,৫ নামে। এই জাতগুলো জাতীয় বীজ বোর্ডের মাধ্যমে অবমুক্ত করা হয় এবং বিএডিসির (বীজ) মাধ্যমে বাজারজাত করা হয়। গ্রীষ্মকালে প্রতি হেক্টর জমিতে ১৬ থেকে ২০ মে. টন করে পেঁয়াজ উৎপাদন সম্ভব। এমন কি ৪০ দিনে চারা তৈরি করে বোরো ওঠার পর (মে মাসের দিকে) সে চারা রোপন করলে দু’মাসেই পিঁয়াজ উৎপাদন সম্ভব। মসলা গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শহীদুল আলম জানান, বারী জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন করলে কৃষক অনেক লাভবান হবেন। প্রায় সারা বছর ধরেই কৃষকা তা চাষ করতে পারেন। তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ বীজ যথাযথভাবে বাজারজাত করতে পারছে না বিএডিসি কর্তৃপক্ষ। যার কারণে কৃষকদের কাছে এখনও তা দু®প্রাপ্য রয়েই গেছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকরা হাতের নাগালে বীজ পাচ্ছে না বলেই তারা পুরোপুরি আবাদ করতে পারছে না। যার কারণে ঘাটতির মেটানো যাচ্ছে না। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক চন্ডীদাস কুন্ডু বলেন, রবি মৌসুমে কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী। গত মৌসুমে জেলায় প্রায় ৩ হাজার ৫৯৬ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে ৩৫ হাজার ৯৬০ মে. টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু সেখানে অর্জিত হয়েছে ৩ হাজার ২৭৫ হেক্টরে ২৯ হাজার ৫২৫ মে.টন। ফলে ঘাটতি ছিল ৬ হাজার মে. টন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) বগুড়ার উপ-পরিচালক (বীজ) সাইফুল ইসলাম জানান, মসলা গবেষণা কেন্দ্রের উদ্ভাবিত পেঁয়াজ বীজ বিএডিসি’র মাধমে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। গত বছর বগুড়ায় ২৫৩ কেজি বারী পেঁয়াজ বীজ বাজারজাত করা হয়। চলতি বছরও প্রায় তিনশ কেজি বারী পেঁয়াজ কৃষকদের মাঝে বাজারজাত করা হতে পারে। বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. বিরেশ কুমার গোস্বামী জানান, বারী পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে হলে অধিক লাভজনক এটা প্রচার, সম্প্রসারণ ও প্রদর্শনী প্লট করে কৃষকদের প্রমাণ দেখাতে হবে। আবহাওয়া উপযোগী জাত উদ্ভাবন করার পর বীজ সরবরাহ ও সহজলভ্য না হলে কৃষকরা উপকৃত হবেন না। বর্তমানে মসলা গবেষণা কেন্দ্রে কৃষকদের এবং বিএডিসি কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে তারা উদ্ধুদ্ধ হন কীভাবে বারী পেঁয়াজ উৎপাদন ও বীজ সংরক্ষণ করা যায়। এসব করা গেলে কৃষক পেঁয়াজ চাষে আরো আগ্রহী হয়ে উঠবে।     একুশে সংবাদ ডট কম/ আলম গীর হােসেন/১৪.০৯.২০১৫
Link copied!