AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভিসা ছাড়াই ৪২ দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা


Ekushey Sangbad
পর্যটন ডেস্ক
১১:৪২ এএম, ১০ এপ্রিল, ২০২৪
ভিসা ছাড়াই ৪২ দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা

বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা এখন আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ৪২টি দেশ ও অঞ্চলে ভ্রমণ করতে পারেন। আগাম ভিসা ছাড়া বাংলাদেশিদের ভ্রমণের এই তালিকায় আছে এশিয়ার ৬টি দেশ। এ ছাড়া আছে দক্ষিণ আমেরিকার ১টি, আফ্রিকার ১৬টি, ক্যারিবীয় ১১টি ও ওশেনিয়ার ৮টি দেশ ও অঞ্চল।

এ জন্য আপনার অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। সাধারণত, বেশিরভাগ দেশের ক্ষেত্রেই বাংলাদেশি পাসপোর্টটি ডেস্টিনেশন থেকে এক্সিটের তারিখ, অর্থাৎ দেশটি ছেড়ে আসার তারিখের পর থেকে ৬ মাসের জন্য বৈধ হতে হয়। এমনকি ট্রাভেল করার আগে যে দেশে যাচ্ছেন সেটির জন্য সঠিক স্বাস্থ্য বীমা করে রাখা জরুরি।

বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়ে আগাম ভিসা ছাড়া যে ৪২টি দেশে যেতে পারেন-
এশিয়ার ৬টি দেশ: ভুটান, কম্বোডিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পূর্ব তিমুর।

দক্ষিণ আমেরিকার ১টি দেশ: বলিভিয়া।

উত্তর আমেরিকার (ক্যারাবিয়ান অঞ্চল) ১১ টি দেশ: বাহামাস, বার্বাডোস, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপসমূহ, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, হাইতি, জামাইকা, মন্টসেরাট, সেন্ট কিটস এবং নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস, ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগো।

ওশেনিয়ার ৮টি দেশ: কুক দ্বীপপুঞ্জ, ফিজি, কিরিবাস বা কিরিবাটি, মাইক্রোনেশিয়া, নিউয়ে, সামোয়া, ভানুয়াতু, টুভালু।

আফ্রিকার ১৬টি দেশ: লেসোথো, গাম্বিয়া, বুরুন্ডি, কেপ ভার্দে, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, গিনি-বিসাউ, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সেশেল, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, টোগো।

বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা অন-অ্যারাইভাল (VoA) পাবেন যেসব দেশে-
ভিসা অন-অ্যারাইভাল ভিসা বলতে, ডেস্টিনেশনে পৌঁছানোর আগে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে না। অর্থাৎ, আপনাকে আগে থেকে কোনো ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার দরকার নেই। আপনি যে দেশে যাচ্ছেন সেখানে পৌঁছে একটি অনুমোদিত পয়েন্টে প্রয়োজনীয় ফি দিয়েই আপনি আপনার ভিসা সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। ভিসা অন-অ্যারাইভাল সাধারণত ট্যুরিস্টরাই ব্যবহার করে থাকেন এবং এর মেয়াদ থাকে ১৪ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত।

এশিয়া: মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, টিমর-লেস্টে, শ্রীলঙ্কা
আফ্রিকা: কাবো ভার্দে, মৌরিতানিয়া, বুরুন্ডি, কমোরোস, গিনি-বিসাউ, মাদাগাস্কার, রুয়ান্ডা, সিশেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া
দক্ষিণ আমেরিকা: বলিভিয়া
ওশিয়ানিয়া: টুভালু
অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন-
একটি বৈধ পাসপোর্ট
আপনার ছবি (৩ মাসের বেশি পুরোনো নয়, ছবির সাইজ ওই দেশের ওপর নির্ভর)
ভিসা আবেদনপত্র
প্রয়োজনীয় ফি দিতে ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড কিংবা ক্যাশ ডলার
ফ্লাইট টিকিট এবং হোটেল রিজার্ভেশনের কপি
ভ্রমণসূচি (Travel Itinerary) ইত্যাদি।
ই-ভিসায় ঘুরে আসতে পারবেন যেসব দেশে-
বর্তমান সময়ে প্রায় সব ট্রাভেলারদের মধ্যেই ই-ভিসা বেশ পরিচিত। ই-ভিসা মূলত সাধারণ ভিসার একটি ইলেক্ট্রনিক ভার্সন। এটি একটি নিয়মিত ভিসার মতোই কাজ করে। তবে নিয়মিত ভিসার তুলনায় কিছু এটির সুযোগ-সুবিধা কিছুটা বেশি; কেননা ই-ভিসার আবেদনের জন্য আপনাকে অ্যাম্বাসির লম্বা লাইনে মোটেই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। যে দেশে যেতে চান, সেখানের অ্যাম্বাসির পোর্টালে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করলেই আপনার কাজ শেষ।

এশিয়া: বাহরাইন, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, কাতার, তাজিকিস্তান, ভিয়েতনাম।
ইউরোপ: আলবেনিয়া।
আফ্রিকা: বেনিন, বটসোয়ানা, বুর্কিনা ফাসো, ক্যামেরুন, কঙ্গো জাতীয় প্রজাতন্ত্র, আইভরি কোস্ট (কোট ডিভোয়ার), জিবুটি, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইথিওপিয়া, গাবন, গিনি, কেনিয়া, মালাউই, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, সাও টোমে এবং প্রিন্সিপে, দক্ষিণ সুদান, টোগো, উগান্ডা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে।
উত্তর আমেরিকা (ক্যারেবিয়ান অঞ্চল): অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা
দক্ষিণ আমেরিকা: সুরিনাম
যেসব দেশ ভ্রমণ করতে আপনাকে ট্যুরিস্ট ভিসা নিতে হবে 
আপনার যদি একটি বৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট এবং একটি ভিসা থাকে, তাহলে আপনি ঘুরে দেখতে পারেন পৃথিবীর অনন্য ১৬১টি দেশ! প্রকৃতির ভিন্ন ভিন্ন রূপ, চোখ ধাঁধানো আর্কিটেকচারসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় স্পটের ছবিগুলো মডার্ন ডিভাইসটিতে ক্যাপচার করতে বেশ ভালোই লাগবে!

বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের জন্য কিছু বেসিক ডকুমেন্ট

ভিসা আবেদনপত্র (Visa Application Form)
একটি বৈধ পাসপোর্ট (অন্তত ছয় মাসের বৈধতা)
পুরানো পাসপোর্ট (যদি থাকে)
সাম্প্রতিক ছবি (সাধারণত ৩ মাসের বেশি পুরোনো নয়)
ফ্লাইট টিকিট এবং হোটেল রিজার্ভেশনের কপি
ভ্রমণসূচি (Travel Itinerary) ইত্যাদি
আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ (সাধারণত সর্বশেষ ৬ মাসের ব্যাংক  স্টেটমেন্ট)
দেশভিত্তিক কিছু আলাদা ডকুমেন্ট।

একুশে সংবাদ/এস কে
 

Link copied!