AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

প্রকৃতিপ্রেমীদের মাঝে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে,অনিন্দ্য সুন্দর বিলাসছড়া লেক



প্রকৃতিপ্রেমীদের মাঝে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে,অনিন্দ্য সুন্দর বিলাসছড়া লেক

দেশের অন্যতম চা শিল্পাঞ্চল ও পর্যটন নগরী হিসেবে মৌলভীবাজার জেলার পরিচিতি রয়েছে দেশ-বিদেশে। এ জেলায় রয়েছে অসংখ্য পর্যটন স্পট এবং নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সুনীল আকাশ, সাজানো সবুজ চা বাগান আর সুউচ্চ সবুজ পাহাড়ি টিলায় ঘেরা চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই শুধু সৌন্দর্যের হাতছানি। 

শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম আকর্ষণ বিলাসছড়া লেক। চেইন বাড়ি লেক নামেও অনেকের কাছে পরিচিতি। পাহাড় ও সবুজে ঘেরা এই লেকের অবস্থান শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৮নং কালিঘাট ইউনিয়নের বিলাসছড়া চা বাগানের ১০ নম্বর সেকশনে। দক্ষিণ দিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য আর বাকি তিন দিকে পাহাড়ি টিলা ও চা বাগান। টিলা আর চা বাগানের মাঝে অবস্থিত সুবিশাল লেকে তৈরি করা বাঁশের সাঁকোতে ওঠে যেদিকে তাকাবেন সে দিকটাই মনে হবে লেকটির উৎপত্তিস্থল। লেকের চারপাশে সবুজ বনানী এবং পাহাড়ি সৌন্দর্য। চারপাশের প্রাকৃতিক নিস্তব্ধতা এবং মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এই লেককে প্রকৃতিপ্রেমীদের মাঝে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। প্রতিনিয়ত প্রকৃতিপ্রেমী ও সৌন্দর্যপ্রেমীদের হাতছানি দেয় নয়নাভিরাম বিলাসছড়া লেক।  

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিলাসছড়া চা বাগানের ১০ নম্বর সেকশনে অবস্থিত এই লেকের চারদিকে উচুঁ, নিচু-টিলা আর সবুজে ঘেরা চারপাশে চা বাগান, এরই মাঝখানে মনোমুগ্ধকর বিশাল লেক। উঁচু টিলার উপর থেকে এ লেকটি দেখতে অপূর্ব লাগে। পর্যটকরা এ লেকে আসলে দেখতে পাবেন উঁচু পাহাড়, সবুজ টিলা, চা-বাগানের আঁকাবাঁকা পথ আর লাল মাটির রাস্তা। শাপলাসহ নানা জাতের জলজ উদ্ভিদ। লেকের পানি, সুনীল আকাশ আর গাঢ় সবুজ পাহাড়, ছবির মতো চা বাগানের এই মনোরম দৃশ্য যে কোনো পর্যটককে মোহিত করবেই। 

বিশেষ করে টিলা ও সবুজের সমারোহে ঘেরা এ লেকটি যেকোনো পর্যটকের হৃদয় মনে দোলা দেবে নিঃসন্দেহে। কাঁচা চা পাতার আকুল করা গন্ধ নিয়ে লেকের পাড়ে টিলার উপর দাড়ালে যে কারো মনকে করবে মোহাবিষ্ট। লেকের পানিতে টিলার উপর অবস্থিত চা বাগানের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে। নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রাণবন্ত সময় কাটানোর অসাধারণ একটি স্থান। লেকে ঘুরতে আসা প্রকৃতিপ্রেমী দিহান মিটু বলেন, লেকে এসে দেখতে পেলাম পাহাড়ের ঢাল গড়িয়ে নিচে জমা বিশাল জলরাশি এখানকার পরিবেশকে দিয়েছে অনন্য এক প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য। লেকের পরিবেশ এতটাই মনোরম যে সবুজ গাছপালা এবং পাহাড়ি হাওয়ার মৃদু পরশ শরীর-মনে প্রশান্তি এনেছে। টিলা আর চা বাগানের মাঝে অবস্থিত সুবিশাল লেকটির অপরূপ সৌন্দর্যে বেশ মুগ্ধ হয়েছি। যারা একবার এ লেকটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসবেন আশা করি আমার মতো তনোমন ভালোলাগার আবেশে বিমোহিত হবেন।

দর্শনার্থী মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এটি একটি অসাধারণ স্থান। পানির ওপরে ঝলমলে সূর্যের আলো আর চারপাশের পাহাড়ি ছায়া মিলে তৈরি হয়েছে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। লেকের চারপাশে হাঁটতে হাঁটতে প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি  ছবি ধারণ করেছি ক্যামেরায়। লেকের মাঝে তৈরি করা বাঁশের সাঁকোতে হেঁটে একদিকে পাহাড়ের সবুজাভ রূপ অন্যদিকে জলাশয়ের মনোরম দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি। 

পর্যটক সাইফুর রহমান জাবেদ ও মঈনুল ইসলাম বলেন, বিলাসছড়া চা বাগান ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতাও অসাধারণ। নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রাণবন্ত সময় কাটানোর অসাধারণ একটি স্থান। সবুজ চা গাছের সারি, পাহাড়ি পথ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বলে শেষ করা যাবে না। পাহাড়, টিলা এবং মাটির রাস্তা, আকাঁবাকাঁ পথ এবং সারি সারি চা বাগান দেখে বেশ ভালো লেগেছে। লেকে যেতে চাইলে শহরের কালিঘাট রোড থেকে কালিঘাট চা বাগানে যাবার জিপ গাড়ি পাওয়া যায়। সে জিপ গাড়িতে চড়ে চলে যান কালিঘাট চা বাগানস্থ বালিশিরা মেডিকেল-এর সামনে। 

সেখান থেকে হাতের বামে ইট সলিং রাস্তা ধরে পায়ে হেঁটে যেতে পারেন বিলাসছড়া পরীক্ষণ খামার পযর্ন্ত। খামারের ঠিক উল্টোদিকে রয়েছে একটি পাহাড়ি ছড়া। সে ছড়া পেরিয়ে পায়ে হেটে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে চলে যেতে পারবেন বিলাসছড়া লেকে।

এছাড়া শ্রীমঙ্গল শহর থেকে সিএনজি অটোরিকশা রিজার্ভ করেও বিলাসছড়া  লেক পর্যন্ত যাওয়া যাবে। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি বা বাইক নিয়েও সরাসরি লেক পর্যন্ত যাওয়া যায়। রাস্তাটি চা বাগানের ভেতর দিয়ে যাওয়ায় যাত্রাপথও বেশ মনোরম। অনিন্দ্য সুন্দর এ লেকটি প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এক শান্তিপূর্ণ ও নিরিবিলি স্পট হিসেবে বেশ পছন্দের।

 

একুশে সংবাদ/মৌ.প্র/এ.জে

Link copied!