AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

উলিপুরে ২ বছর থেকে সরকারি বাঁধের মাটি যাচ্ছে ভাটা ও স্থাপনায়


উলিপুরে ২ বছর থেকে সরকারি বাঁধের মাটি যাচ্ছে ভাটা ও স্থাপনায়

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ধামশ্রেণি ইউনিয়নের টেংনাকুড়া (নাওড়া)‍‍`র খাল খননের মাটি যাচ্ছে ভাটা ও স্থাপনায় এবং লাখ লাখ টাকা যাচ্ছে মাটি কেনা বেঁচা শক্তিশালী একটি চক্রের পকেটে। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করা খালের মাটি বিক্রি করে ঝুকিতে ফেলেছে বাধের দুই ধার। ভড়া বন্যার সময় আবাদি জমিসহ ঘর-বাড়ি তলিয়ে যাবে বলে আশংকা করছেন বাধের দুই পাশের মানুষ।

 

অভিযোগ উঠেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড খাল খননের কাজ করলেও এরপর কর্তৃপক্ষ আর খোঁজ খবর নিতে আসেননি যে কারনে বাধের মাটি বিক্রির হিড়িক পড়েছে।  সচেতন মহলের অভিযোগ দৃষ্টিহীন ও নির্বিকার কর্তৃপক্ষ।

 

সরেজমিনে রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, ২টি স্পর্টে প্রায় ১০-১৫ জন শ্রমিক বাধ কাটছে আর সেই বাধের মাটি ট্রাকটরে করে নিয়ে যাচ্ছে এক শ্রেণির মহাজন। বাধের মাটি বিক্রির টাকা যাচ্ছে স্থানীয় ক্ষমতাধরদের পকেটে। বাধের উত্তরের দীর্ঘ যে বাধটি এটি লম্বায় প্রায় ৩ কিলোমিটার। এই ৩ কিলোমিটারের মাটি পুরোটাই সরিয়ে ফেলেছে একটি চক্র। এখন দক্ষিনের পাড়ের মাটি কাটার গিড়িক পড়েছে।

 

অভিযোগ উঠেছে, এই মাটি বিক্রির সুযোগ করে দিয়েছে উপর মহল। বাধের পাশে জমি মালিকদের ম্যানেজ করে একটি চক্র শুরুতেই উপরের টপ সয়েলগুলো বিক্রি করেছে ইট ভাটায় এখন নিয়ে যাচ্ছে স্থাপনায়। যেভাবে বাধের মাটি বিক্রি হচ্ছে তাতে উপরের জমিগুলো আগামী বর্ষায় ভেঙ্গে মানুষের প্রয়োজনে সরকারের করা খালটি আবার পুরণের ঝুঁকি রয়েছে। এসব বিষয়ে প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

 

কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চিলমারীর উপজেলার কাঁচকোল থেকে উলিপুরের ধামশ্রেণি ইউনিয়নের টেংনাকুড়া পর্যন্ত ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১২ কিলোমিটার খননের কাজটি শুরু করা হয়। দুটি দরপত্রের মাধ্যমে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি দেয়া হয়। যার প্রায় ১৩শ মিটার খনন করা হয়েছে। বাকি কাজটি আর করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।

 

কেন কাজটি আটকে গেলো এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলার উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, মাঠ পর্যায়ের কৃষকের সাথে খাল খননের বিষয়টি শেয়ার করতে গেলে তারা অধিগ্রহনের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলেন, যার কারনে আর কাজটি করা সম্ভব হয়নি।

 

তিনি আরো জানান, ১৫-২০ দিন আগে মাটি কাটা বন্ধ করা হয়েছিলো আবার যেহেতু চালু হয়েছে বিষয়টি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানাব।

 

মাটি বিক্রির সাথে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাক্টর মালিক জানান, আমরা ১শত টাকায় প্রতি গাড়ি মাটি কিনে ৬শত টাকায় বিক্রি করি।

 

ড্রাইভার বাবু জানান, জমি মালিকরা তাদের সাথে কন্ট্রাক্ট করে তারপর তারা মাটি ক্রেতাদের কাছে মাটি পৌছে দেয়।

 

জমি মালিক, মাহমুদুল হাসান সুজন ও আমিন উদ্দিন জানান, এই গড়ের মাটি কাটার সুযোগ করে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। উত্তরের গড়ের মাটি স্কাভেটর (ভেকু) ওয়ালারা পয়শা নিয়ে শুরুতেই জমি মালিকদের সাথে সমন্বয় করে এই অন্যায় কাজটি করেছে, এরপর দক্ষিনের গড়ের মাটি বিক্রি শুরু হয়েছে।

 

গড়ের মাটি কাটায় ভবিষ্যতে ক্ষয়ক্ষতি হবে কিনা জানতে চাইলে বলেন, কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই। মাটি বিক্রিতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো দু‍‍`জন জানান, কিছু মাটি বিক্রিও করছি এবং নিজেদের কাজেও ব্যবহার করছি, তারা আরো জানান, কিভাবে সরকার আমাদের অধিগ্রহণ করলো সে বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারি না।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লা আল মামুন জানান, মাটি কাটা বন্ধের ব্যবস্থা এখনি নিচ্ছি।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!