দুনিয়ার চাক-চিক্যময় জীবনের যত অর্জন, আর যা কিছু দেখছি, তার পুরোটাই বাবা-মার অবদান। তাই কোরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ তাআলা সন্তানের প্রতি কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ বাবা-মার জন্য আবশ্যক করে দিয়েছেন।
শুধু তা-ই নয়, আসামীর কাঠগড়ায় অবস্থান করে বাবা-মা। কোনো উপায় না পেয়ে বৃদ্ধ বয়সে যেতে হয় বৃদ্ধাশ্রমে। না, এমনটি মোটেই ঠিক নয়, বরং কোরআন বলে ভিন্ন কথা। বাবা-মার বেশি কিছু অধিকার নিশ্চিত করবে সন্তান। কী সেসব অধিকার?
১. উত্তম আচরণ
আল্লাহ তাআলার নির্দেশ- وَبِالوٰلِدَينِ إِحسٰنًا
তোমরা বাবা-মার সঙ্গে সদা সদ্ব্যবহার করো; যে মা দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করেছেন এবং যে বাবা হাটি হাটি পা পা করে একদম ছোট থেকে নিয়ে সাবলম্বী হওয়া পর্যন্ত নিজে সুখ ভোগ না করে সন্তানের জন্য পরিশ্রম করেছেন।
২. তাদের জন্য ‘উফ’ শব্দ না বলা
আল্লাহ তাআলার নির্দেশ- فَلا تَقُل لَهُما أُف
তাদের (বাবা-মাকে) ‘উহ/উফ’ শব্দটিও বলো না; বাবা-মা যখন বার্ধক্যে(বৃদ্ধবস্থায়) উপনীত হয়, তখন তারা ছোট শিশুর মতো আচরণ করতে থাকে। বিভিন্ন ধরনের বায়না করে। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পেশ করে। তখন তাদের দাবি-দাওয়া শুনে, তাদের বায়না শুনে উফ শব্দটি বলা যাবে না।
৩. ধমক দেওয়া যাবে না
আল্লাহর নির্দেশ-ٍّ وَلا تَنهَرهُما
তোমরা তাদেরকে ধমক দিও না; যেখানে বাবা-মাকে উফ শব্দটি বলা পর্যন্ত নিষেধ সেখানে ধমক দেওয়ার দো প্রশ্নই আসে না। এরপরেও আল্লাহ তাআলা কোরআনে পাকের গুরুত্বের সঙ্গে নির্দেশ দেন, তোমরা তাদের ধমক দিও না। এখনও সমাজে এমন কিছু হতভাগা সন্তান আছে, যারা বাবা-মাকে কথায় কথায় ধমক দিয়ে বসে।
৪. সুন্দর কথা বলা
আল্লাহর তাআলার নির্দেশ- وَقُل لَهُما قَولًا كَريمًا
এবং তাদের সঙ্গে সুন্দর শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা বলো; তাদের সঙ্গে নম্র আচরণ করো। তাদের সামনে কখনো নিজেকে কঠোর করিও না। কেননা বাবা–মার সন্তুষ্টি তো আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর বাবা-মা নারাজ থাকে, তো আল্লাহ নারাজ।
৫. তাদের ভালোবাসো ও নম্রভাবে কথা বলা
আল্লাহ তাআলার নির্দেশ- وَاخفِض لَهُما جَناحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحمِ



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

