AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

খালেদা জিয়ার পদত্যাগ প্রক্রিয়া শুরু


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮:৩৯ পিএম, ২ মে, ২০২৩
খালেদা জিয়ার পদত্যাগ প্রক্রিয়া শুরু

বিএনপি চেয়ারপার্সন  বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন। নিবির পরিচর্যায় থাকলেও তিনি কেবিনে অবস্থান করছেন। বিএনপি পন্থী চিকিৎসক ছড়া কারো সঙ্গে তাকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।  আর এ নিয়েই রহস্যের ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে।

 

বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এবং তার বোন সেলিনা ইসলাম পর্যন্ত মনে করছেন খালেদা জিয়াকে নিয়ে নোংরা রাজনীতির খেলা খেলছে বিএনপি নেতৃবৃন্দ। ঈদের পর হঠাৎ করেই খালেদা জিয়াকে কেন হাসপাতালে নেয়া হলো আর কেনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এই বিষয়টিও শামিম ইস্কান্দার অবহিত নয়।

 

একাধিক সূত্র বলছে, বেগম খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করানোর জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপি‍‍`র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার নির্দেশেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

সূত্রগুলো বলছে, খালেদা জিয়ার যেন বিএনপিতে কোন পদ পদবী না থাকে সে ব্যাপারে বিএনপি নিশ্চিত হতে চাইছেন। বেগম জিয়া যদি শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন এবং বিএনপি‍‍`র কোন পদে না থাকেন তাহলে তিনি যদি দলকে নির্বাচনে যাওয়ার নির্দেশও দেন তাহলে সেই নির্দেশ দলীয় সিদ্ধান্ত হবে না। কিন্তু কাগজে-কলমে এখনও খালেদা জিয়া দলের চেয়ারপারসন। তাই বেগম জিয়া যদি বলেন যে, দলকে নির্বাচনে যেতে হবে তাহলে সেটি বিএনপি‍‍`র জন্য আদেশ হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ বিএনপি’র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারপারসনের হাতে সর্বক্ষমতা। দলের গঠনতন্ত্রে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলে কোন পদ নেই এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বলেও কোন পদ নেই।

 

এদিকে তারেক জিয়া এ দুইটি পদের বলে বিএনপিকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ব্যবহার করছেন। আর একারণেই এখন তারেক জিয়া মরিয়া হয়ে উঠেছেন তার মা’কে বিএনপি থেকে বাদ করার জন্য। এ কারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, খালেদা জিয়ার পদত্যাগের ব্যাপারে বিএনপি অন্য নাটক মঞ্চস্থ করছে। বিএনপি বলছে, সরকার যেহেতু মনে করছে যে বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি চেয়ারপারসন এবং চেয়ারপারসন হওয়ার কারণে সরকার তাকে বিদেশে নেয়ার ক্ষেত্রে ভয় পাচ্ছে, আতঙ্ক বোধ করছে। এজন্য বেগম খালেদা জিয়া স্বইচ্ছায় সজ্ঞানে দলের সব ধরণের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করবেন, ফলে তিনি বিএনপি’র কেউ থাকবেন না। তখন একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে মানবিক কারণে সরকার তাকে বিদেশে পাঠাতে আগ্রহী হবে।

 

কিন্তু বাস্তবতা হলো বেগম খালেদা জিয়া পদত্যাগ করুক আর নাই করুক না কেন তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন এবং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতির বিষয়টি সংঘটিত হয়েছিল। কাজেই তিনি একদিকে যেমন এর দায় এড়াতে পারেন না অন্যদিকে এখন তিনি দল থেকে পদত্যাগ করলেও তার পরিস্থিতির কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। বরং বেগম জিয়াকে যেন সরকার ব্যবহার করতে পারে এবং তাকে দিয়ে কোনো মুচলেকা নিলে তার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া যেন বিএনপি’র উপর না পড়ে সেটি নিশ্চিত করতে চাইছে বিএনপি। আর একারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে পদত্যাগের কথা বলা হচ্ছে।

 

আজ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগের বক্তব্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেছেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল এবং বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে তার মধ্যে কোন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা লক্ষ্য করা যায়নি। বেগম জিয়া যদি সত্যিই অসুস্থ থাকতেন তাহলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এত হাস্যজ্জল থাকার কোনো কারণ নেই। বরং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সেই সময় একটু নমনীয় এবং বেদনার্ত থাকার কথা ছিল। কিন্তু সেরকম কিছু লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে বেগম জিয়ার হাসপাতালে থাকার বিষয়টি বিএনপি সৃষ্টি এটি নিয়ে বিএনপি নেতাদের মধ্যেও কোনো সংশয় নেই।

 

বেগম খালেদা জিয়াকে এখন পদত্যাগ করিয়ে বিএনপির ক্ষমতা যেমন নিরঙ্কুশ করতে চান তারেক জিয়া। তেমনি সরকারের সাথে সব দর কষাকষি নিজেই করতে চান। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক সূত্র বলছে যে, কোনো অবস্থাতেই তারেক জিয়ার সঙ্গে সরকার কোনো আলোচনায় যাবে না।

 

একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহাঙ্গীর

Link copied!