সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে মেহেরপুর জেলা পুলিশের অনুরোধে রাজধানীর ইস্কাটন রোডের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে রাতেই তাকে মেহেরপুর জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম জানান, মেহেরপুর সদর থানায় গত ১৯ আগস্ট দায়ের করা মামলার আসামি সৈয়দা মোনালিসা হোসেন। তার বিরুদ্ধে আরও একটি পৃথক মামলা রয়েছে। ওই মামলার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
আওয়ামী লীগের নেতা ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ফরহাদ হোসেন ও তার স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা মেহেরপুর জেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তারা মানুষকে নানাভাবে শোষণ করেছেন। আর মন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাধর ছিলেন তার স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা।
স্থানীয় প্রশাসন ও গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, মেহেরপুর জেলায় অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা রাশিয়ায় পাচার করেছেন মোনালিসা। এ ছাড়া তিনি অনলাইন ক্যাসিনো এজেন্ট ও জুয়াড়িদের নিরাপত্তা দিতেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মেহেরপুরসহ সারা দেশের টেন্ডার, নিয়োগ, বদলি ও অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা ও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী।
তার দুর্নীতির তথ্য ফাঁস করেছেন ফরহাদ হোসেনেরই ছোট ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল। সম্প্রতি তিনি এক অডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ভাইয়ের দুর্নীতির কারণেই আজ আমরা সবাই ঘরছাড়া, পালিয়ে বেড়াচ্ছি এবং মামলার আসামি হয়েছি। ফরহাদ হোসেন নিয়োগ, বদলি-বাণিজ্য প্রভৃতি দুর্নীতির মাধ্যমে ন্যূনতম দুই হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কানাডার বেগমপাড়ায় তার বাড়ি আছে। ঢাকায় একাধিক বাড়ি আছে। সবকিছুর নিয়ন্ত্রক ছিলেন মন্ত্রী ও তার স্ত্রী। টাকা ছাড়া টেন্ডার, নিয়োগ, বদলি কিছুই হতো না।’
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :