সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: সালমান এফ রহমান

বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো, নিরাপত্তা সহযোগিতা, শ্রম পরিবেশ উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এক সঙ্গে কাজ করতে চায় দেশটি।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে নৈশভোজের পর সাংবাদিকদের কথাগুলো বলেন।

মার্কিন প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফররত বিশেষ সহকারী ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লাউবাখ।

সালমান এফ রহমান বলেন, কিছুদিন আগে জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি দিয়েছেন; সেখানে তিনি বলেছেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাই এবং নতুন অধ্যায় শুরু করতে চাই।’ বাংলাদেশ সফররত এ প্রতিনিধিদলও একই কথা বলেছেন৷

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না -- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জানান, ‘নির্বাচন এখন পেছনের ঘটনা। সেটি নিয়ে তারা কোনো কথা বলেননি, আমরাও বলিনি। বরং, সামনের দিনগুলোতে কীভাবে দুদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করা যায়, সেসব বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’

বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়ে সালমান বলেন, ‘আমেরিকাও চায় রোহিঙ্গারা সসম্মানে নিজ দেশে ফিরে যাক। সেই সঙ্গে তাদেরকে সাময়িক আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে উদারতা দেখিয়েছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। রোহিঙ্গাকে তারা আরও সহযোগিতা করতে চান।’

বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিদল মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উল্লেখ করে সালমান রহমান বলেন, ‘মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর তারা নজর রাখছেন। সেই সঙ্গে আমাদেরকেও নজর রাখতে বলেছেন।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের তার ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স প্রোগ্রামে (ডিএসপি) যুক্ত করতে চায়। এর জন্য তারা কয়েকটা শর্তের কথা বলেছে। এগুলো শিগগিরই তারা জানাবে। শর্তগুলো কী কী আমরা জানাতে বলেছি। এছাড়া তাদের সঙ্গে চলমান প্রকল্প অব্যাহত থাকবে।

বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা ইউএসএআইডির সহকারি প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার ছিলেন।

একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা