কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বিভিন্ন সময় হামলার শিকার হচ্ছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। গত কয়েকদিনে আন্দোলন কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহকালে তারা আহত হন। গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) শাহবাগে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের সময় আন্দোলনকারীরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় হামলায় সময় টিভির সহযোগী জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ত্বোহা খান তামিম ও রাশেদ বাপ্পী, সিনিয়র ভিডিও জার্নালিস্ট সামছুল আরেফিন প্রিন্স, সিনিয়র ভিডিও জার্নালিস্ট সুমন সরকার, সিনিয়র ভিডিও জার্নালিস্ট সালাউদ্দিন আল মামুন আহত হন।
এছাড়া মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) হামলায় সময় সংবাদের চিত্র সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন, সময় সংবাদের রংপুরের রিপোর্টার রেদওয়ান হিমেল ও চিত্র সাংবাদিক তারিকুল ইসলাম এবং বগুড়ার রিপোর্টার আব্দুল আউয়াল আহত হয়েছেন।
পাশাপাশি সংবাদ সংগ্রহকালে সোম ও মঙ্গলবার দুইদিনে সময় টিভি অনলাইনের দুই প্রতিবেদক মহির মারুফ এবং আবু সাঈদ নিশানও হামলার শিকার হন।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রাতভর রণক্ষেত্রে পরিণত হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। এ সময় শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ চারজন গুলিবিদ্ধ ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন; ভাঙচুর হয়েছে উপাচার্যের বাসভবনেও।
আহত শিক্ষক ও সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন জাবির ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক খন্দকার লুৎফুল এলাহী, দৈনিক বাংলার জাবি প্রতিনিধি আব্দুর রহমান সারজিল, বণিক বার্তার মেহেদী মামুন এবং জনকণ্ঠের প্রতিনিধি ওয়াজহাতুল ইসলাম।
এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে কেন গণমাধ্যমকর্মীরা হামলার শিকার হচ্ছেন। এর জবাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ হাসনাত বলেছিলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে অছাত্র-কুছাত্ররা এমন হামলা করছেন।’
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা