AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভেজানো কিসমিস খেলে মিলবে যেসব উপকার


Ekushey Sangbad
লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৪:২৯ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
ভেজানো কিসমিস খেলে মিলবে যেসব উপকার

কিশমিশ একটি স্বাস্থ্যগুণ সম্পন্ন খাবার। এতে আছে ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও অন্যান্য অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টির সমৃদ্ধ উৎস। কিশমিশের পুষ্টিগুণ আরও ভালোভাবে পাওয়া যায় কিশমিশ ভেজানো পানি পান করলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রান্নায় দিয়ে কিংবা শুধু খাওয়ার বদলে কিশমিশ ভিজিয়ে খেতে পারলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কিশমিশে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সহজেই দ্রবণীয় হয়ে যায়। ফলে সেই পানি পান করলেও কিশমিশের গুণাগুণ আমাদের শরীর আরও সহজে নিতে বা শোষণ করতে পারে। তাই ভেজানো কিশমিশ ও পানি পান করলে মিলবে নানা উপকারিতা। চলুন জেনে নেয়া যাক ভেজানো কিশমিশ খেলে কি ধরণের উপকারিতা পাওয়া যায়-

 

আয়রন সমৃদ্ধ
আয়রনের খুব ভালো উৎস কিশমিশ। বিশেষ করে ভেজানো কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই আয়রনের অভাবজনিত রোগ অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে কিশমিশ।

 

হজমশক্তি বাড়ায়
সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজমশক্তি জরুরি। এক্ষেত্রে কিসমিস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ রাতে এক গ্লাস পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেই কিসমিস খান। নিজেই তারপর তফাত খেয়াল করুন। দিন পনেরো পরেই ফলাফল বুঝতে পারবেন।

 

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় উপকারী
কিশমিশে ভালো মাত্রায় পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আর এ উপাদানগুলো অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এগুলো সিস্টেম থেকে টক্সিন অপসারণের পাশাপাশি গাউট, আর্থ্রাইটিস, কিডনিতে পাথর এবং হৃদরোগের মতো জটিল রোগ প্রতিরোধেও অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে।

 

হৃদরোগে জন্য উপকারী
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভেজানো কিশমিশের জুড়ি নেই। তাছাড়া কিশমিশে রয়েছে পটাশিয়ামের মতো খনিজ, যা হৃৎপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

 

হাড়ে পুষ্টি যোগায়
কিশমিশ ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ একটি খাবার। বিশেষ করে ভেজানো কিশমিশ ক্যালশিয়ামের খুব ভালো উৎস। এ কারণে হাড়ের যত্ন নিতে কিশমিশের উপর ভরসা রাখতে পারেন। কিশমিশ খেলে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়।

 

হজমে উপকারী
নিয়মিত কিছু পরিমাণে কিশমিশ খেলে তা পেট ভালো রাখদতে সহায়তা করতে পারে। এতে ভালো পরিমানে ফাইবার থাকার কারণে তা পানির উপস্থিতিতে ফুলে উঠতে শুরু করে আর পেটে রেচক প্রভাব দেয় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

 

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
কিশমিশে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যাও প্রতিরোধ করে।

 

ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
ত্বকের কোষকে যেকোনো ক্ষতি থেকে রক্ষা করেতে অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে কিশমিশ। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ, কোলাজেন এবং ইলাস্টিনের ক্ষতি থেকে ফ্রি র‌্যাডিকেলগুলোকে বাধা দেয়। এর ফলে এটি বলি, সূক্ষ্ম রেখা ও ত্বকে দাগ দেখা দেওয়ার সমস্যাসহ বার্ধক্যের লক্ষণ অনেকটা বিলম্ব করতে সহায়তা করে।

 

একুশে সংবাদ/এনএস

Link copied!