ভুল লাইফস্টাইলের কারণে একাধিক রোগভোগে নাজেহাল মানুষ। সুস্থ থাকতে ওষুধই ভরসা। কিন্তু তারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। প্রথমদিকে খুব একটা বোঝা না গেলেও ভবিষ্যতে এটাই বড় সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এ থেকে মুক্তি দিতে পারে যোগব্যায়াম। শরীর তো সুস্থ হবেই, চাঙ্গা থাকবে মন, মানসিকতাও।
উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশ যোগ কেন্দ্রের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও যোগ প্রশিক্ষক নেহা ঠাকুর বলছেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য যোগব্যায়াম অপরিহার্য। ইদানীং অনেকেই হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন। এই নিয়ে অনেক আলোচনাও হয়। কিন্তু গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু অনেকেই জানেন না হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেই পিসিওডি, পিসিওএস এবং থাইরয়েডের মতো মারাত্মক রোগ হয়। সুস্বাস্থ্যের জন্য হরমোনের ভারসাম্য গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায়, ‘শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে ৫ মিনিট যোগাসন করা উচিত’।
মন্ত্র জপ: শরীর ও মনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর সর্বোত্তম সমাধান হল মন্ত্র জপ করা। এতে জপ করলে মন শান্ত হয়। শরীর স্থিতিশীল থাকে। প্রতিদিন সকালে মন্ত্র জপ করলে শরীর ও মনের ভারসাম্য বজায় থাকে। আর মন্ত্র সবসময় মাটিতে বসেই জপ করা উচতৎ। এর সঙ্গে করতে হবে যোগাসন।
মলাসন: মলাসনের ভঙ্গিমা অনেকটা প্রাতঃকৃত্যে বসার মতো। এই আসন করার জন্য প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। দুই পায়ের মধ্যে অন্তত একহাত ফাঁক থাকবে। এবার বসতে হবে ধীরে ধীরে। দুই হাত একসঙ্গে থাকবে, উভয় কনুই উরুর সঙ্গে ৯০ ডিগ্রি কোণে। এবার শ্বাস ছাড়ার সময় সামনের দিকে ঝুঁকতে হবে। শ্বাস নেওয়ার সময় সোজা।
জয়েন্ট মুভমেন্ট: পিঠ সোজা করে মাটিতে বসতে হবে। পা থাকবে সামনের দিকে, সোজা। এবার পিঠ সোজা রেখে দুই হাত রাখতে হবে নিতম্বের উপর। এখন গোড়ালি স্থির রেখে পা ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘোরাতে হবে। এতে পায়ের জয়েন্টের পেশি আরাম পাবে।
একুশে সংবাদ/ন.আ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :