বর্তমানে দেশে সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত মোট পদসংখ্যা প্রায় ১৯ লাখ। তবে এর মধ্যে প্রায় ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ এখনো শূন্য রয়েছে, যা মোট পদের প্রায় এক চতুর্থাংশ। এই তথ্য উঠে এসেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২৪ সালের প্রকাশিত কর্মচারী পরিসংখ্যানে।
পরিসংখ্যান অনুসারে, সরকারিভাবে মোট অনুমোদিত পদ ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি। এর মধ্যে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন। ফলে ২৪ দশমিক ৪০ শতাংশ পদে এখনো কেউ নিয়োগ পাননি। গত কয়েক বছর ধরেই এই শূন্য পদের সংখ্যা বাড়তির দিকে। ২০১৮ সালে ফাঁকা পদের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজারের কিছু বেশি, আর ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৪ লাখ ৯০ হাজারে।
পদভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রথম থেকে নবম গ্রেড পর্যন্ত গেজেটেড পদে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি, যার মধ্যে কর্মরত আছেন ১ লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। এতে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ খালি। দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্ত (১০–১২তম গ্রেড) পদের সংখ্যা ৩ লাখ ৬২ হাজারের বেশি, যার মধ্যে ১ লাখ ২৯ হাজারেরও বেশি পদ শূন্য রয়েছে।
তৃতীয় শ্রেণির (১৩–১৬তম গ্রেড) ক্ষেত্রেও শূন্য পদের সংখ্যা এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি। চতুর্থ শ্রেণিতে (১৭–২০তম গ্রেড) অনুমোদিত ৫ লাখ ১৯ হাজার পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন প্রায় ৪ লাখ ৪ হাজার জন। ফলে এক লাখ ১৫ হাজারেরও বেশি পদ এখনো ফাঁকা।
নির্ধারিত ও অন্যান্য শ্রেণির অধীনে থাকা ১৬ হাজার ১১৬টি পদের মধ্যে ৮ হাজারের বেশি পদে এখনও নিয়োগ হয়নি। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগ, অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক শূন্যপদ রয়েছে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে ফাঁকা আছে ৬ হাজার ৬৪টি, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজারের বেশি, বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি কার্যালয়ে ১৫ হাজার এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় ১ লাখ ৫১ হাজারের মতো পদ শূন্য রয়েছে।
এই পদগুলোতে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) গেজেটেড পদে (১ম–১২তম গ্রেড) নিয়োগ দিয়ে থাকে, আর বাকি পদে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ওপর ন্যস্ত।
একুশে সংবাদ/জা.নি/এ.জে