ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধের বার্তা দিয়েছেন। শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে তেহরানে বিমান হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এবং আরও কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানী নিহত হওয়ার পর এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
এক বিবৃতিতে খামেনি হামলাটিকে আখ্যা দেন "ভোরের অপরাধ" হিসেবে। তার ভাষায়, “ইসরায়েল শুধু সামরিক স্থাপনাই নয়, সাধারণ আবাসিক এলাকাও টার্গেট করেছে। এর জন্য তাদের কঠিন মূল্য দিতে হবে।”
ইরানি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এবং আধা-সরকারি মেহর নিউজ জানায়, ওই ভোরে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় কেঁপে ওঠে তেহরানসহ আশপাশের অঞ্চল। হামলার লক্ষ্য ছিল একটি পারমাণবিক গবেষণাগার এবং আইআরজিসি’র একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি।
প্রয়াত মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি (৬৫) ছিলেন ইরানের প্রভাবশালী সামরিক ব্যক্তিত্ব। সরাসরি সর্বোচ্চ নেতার অধীন তিনি কয়েকবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। শুধু সামরিক নয়, রাজনৈতিক মহলেও তার প্রভাব ছিল সুদৃঢ়।
ইসলামি বিপ্লবের পর ১৯৭৯ সালে গঠিত ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ইরানের একটি বিশেষায়িত সামরিক বাহিনী। শুধু প্রতিরক্ষা নয়, এটি দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, অর্থনীতি এবং আঞ্চলিক কৌশলগত কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইয়েমেন, সিরিয়া, লেবানন ও ইরাকে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় এই বাহিনী সক্রিয়। রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন শিল্প খাতেও আইআরজিসির প্রত্যক্ষ অংশীদারিত্ব রয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েল এখনো এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খামেনির কড়া বার্তার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হতে পারে এবং বড় ধরনের পাল্টা প্রতিক্রিয়া শঙ্কার কেন্দ্রে রয়েছে।
একুশে সংবাদ/ চ.ট/এ.জে