AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

খাল বিলে  মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরিপানা ফুল


খাল বিলে  মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরিপানা ফুল

গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত সাধারণ একটি জলজ উদ্ভিদের নাম "কচুরিপানা"।ফরিদপুরসহ বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেক এলাকায় হাওর-বাঁওড়-খাল-বিল আর শস্য-শ্যামল সবুজে ভরপুর ছোট বড় হাওর, বিল, ঝিল ও বাড়ির পাশের ডোবায় এখন ফুটেছে দৃষ্টিনন্দন কচুরিপানা ফুল দেখতে পাওয়া যায়। এটি একটি বহু-বর্ষজীবী ভাসমান জলজ উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Eichhornia crassipes।

বাংলাদেশে বিল-ঝিল-হাওর-বাঁওড়ে বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন রঙের ফুল ফোটে বিভিন্ন ঋতুতে।

বাংলাদেশে প্রায় সাত প্রজাতির কচুরি দেখতে পাওয়া যায়। কচুরিপানা দেখতে গাঢ় সবুজ হলেও এর ফুলগুলো সাদা পাপড়ির মধ্যে বেগুনি ছোপযুক্ত এবং মাঝখানে হলুদ ফোঁটা থাকে। সাদা পাপড়ির স্থলে কোথাও হালকা আকাশি পাপড়িও দেখতে পাওয়া যায়। পাপড়িগুলোর মাঝখানে পুংকেশর দেখতে পাওয়া যায়। পুরোপুরি ফুল ফোটার আগে একে দেখতে অনেকটা নলাকার দেখায়। এলাকাভিত্তিক অনেকে একে একেক নামে চিনে থাকে। 

প্রায় সারা বছরই কচুরি ফুল ফুটতে দেখা যায়। কচুরি ফুলের মুগ্ধতায় আমাদের মধ্যে প্রকৃতি প্রেম জাগ্রত করে। 

সরজমিনে  ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফুলের চাদরে ঢেকে আছে জলাশয়, খাল-বিল। অনেকে এসব ফুলের মগ্ধতা ছড়ানো সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ কেউ খুব যত্ন করে নিজের মুঠোফোনে তুলে নিচ্ছেন এসব ফুলের দৃশ্য।

স্থানীয়রা বলেন, দিনে দিনে বিস্তীর্ণ এ জলাশয় কিংবা বিলে কচুরিপানায় ভরে ওঠছে। প্রতি বছরই এসব জলাশয় বা বিলে অযত্ন-অবহেলায় নিজে নিজে বেড়ে ওঠছে ফুলগুলো। এক সময়ে ফোটা ফুলে মনোরম হয়ে ওঠে এলাকা। ফুলের শোভা দেখতে কিংবা অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে।

আসমা নামে এক কলেজ ছাত্রী বলেন,ফরিদপুরে বিভিন্ন খাল-বিলে প্রতি বছর বর্ষার পানিতে বিলের চারপাশ কচুরিপানায় ভরে যায়।এখন মুক্ত জলাশয়ে ফুটন্ত কচুরিপানা ফুল প্রকৃতিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। এ অরূপ সৌন্দর্য মনকে মাতিয়ে যাচ্ছে। উষ্ণতা বয়ে আনছে প্রকৃতিপ্রেমিদের হৃদয়ে।

শরিফ মোল্লা বলেন, কচুরিপানার ফুলের যে এমন সৌন্দর্য থাকে তা চোখে না দেখলে হয় তো জানাই হতো না। বিল ঝিল নদীর  পাশে এমন অপরূপ শোভা চিত্তবিনোদনে খুলে দেয় আনন্দের দুয়ার। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যুবক বলেন, ‘কচুরিপানাকে এত দিন আগাছা বলেই জানতাম। সেই কচুরিপানার ফুলে যে এত মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি হতে পারে, তা দেখলে  বুঝতাম না।

সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, কচুরিপানা কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সঠিকভাবে এসব কচুরিপানা সংরক্ষণ করা হলে জৈব সার তৈরি করা যায়। এতে কৃষকরা ভালো ফলন পাওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হতে পারেন। 

সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ তুরান মোল্লা বলেন, বলেন, কচুরিপানা খুব দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে। এটি প্রচুর পরিমাণে বীজ তৈরি করে, যা ৩০ বছর পরও অঙ্কুরোদ্গম হতে পারে। পানি পেলে কচুরিপানার ফুল প্রায় সারা বছরই ফোটে। তবে বেশি দিন স্থায়ী হয় না। নাজুক এ ফুল কাণ্ড থেকে আলাদা করলে খুব দ্রুতই নুয়ে পড়ে। তাই এ ফুল জলাশয়ে যতক্ষণ থাকে, ততক্ষণই মুগ্ধতা ছড়ায়। গ্রামাঞ্চলে এই কচুরিপানা ফুলটিকে অনেকে ‘হেনা’ বলে ডাকেন। কিছু এলাকায় এটি ‘কস্তুরি’ ফুল নামেও পরিচিত। এর আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকায়। এরা মূলত স্রোতহীন স্বাদু পানিতে জন্মায়। মুক্তভাবে ভাসমান বহুবর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদের মধ্যে এই কচুরিপানা অন্যতম। সবুজ পাতাবিশিষ্ট এই কচুরিপানা পানির ওপরে এক মিটার পর্যন্ত বড় হতে পারে।

 

একুশে সংবাদ/এস কে

Link copied!