AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

তারুণ্যের চেতনায়: মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!


Ekushey Sangbad
রুদ্র দেব নাথ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
০৫:০৫ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
তারুণ্যের চেতনায়: মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!

বুকের তাজা রক্তে কেনা ভাষার মূল্য নির্ধারণ করা যায়না। একে মুখের বুলির সাথে সাথে অনুভব করতে হয়, ধারণ করতে হয়, আর ধারণ করার মাধ্যমেই আত্মচেতনায় বলীয়ান হতে হয়।

 

১৯৫২ সালের এই দিনে যখন পাকিস্তানি শোষকদের নির্যাতন, নিষ্পেষণের চরম প্রতিভূ হিসেবে যখন উর্দুকে বাংলার মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, ঠিক তখনই রফিক, জব্বার, শফিউর, সালাম, বরকত সহ অনেকেই শোষকের বুলেট উপেক্ষা করে নিজের বুক পেতে দেয় হায়নাদের সামনে। তাজা রক্তের বলিদানে রঞ্জিত করে রাজপথ, ছিনিয়ে আনে মায়ের মুখের ভাষা, ছিনিয়ে আনে নিজের অস্তিত্বের এক স্তম্ভকে।

 

সেই ১৯৫২ থেকে ২০২৩ এর মাঝে কেটে গেছে সুদীর্ঘ ৭১ বছর। পরিবর্তন হয়েছে সময়ের, পাল্টেছে যুগ, পাল্টেছে জন-মানুষ, চিন্তা চেতনা। ১৯৫২ এর বুকে দাড়িয়ে যে তরুণ-তরুণীরা ভাষাকে নিয়ে যে চিন্তা চেতনা পোষণ করতো, ২০২৩ এর বুকে দাড়িয়ে সেই একই চেতনায় উজ্জীবিত কি আজকের তারুণ্য? চলুন জেনে নেই তাদের কাছ থেকেই :


রক্ত দিয়ে ছিনিয়ে আনা ভাষাকে কলুষিত করা বন্ধ করুন

সাধারণত কোনো জিনিসের মূল্য নির্ধারিত হয় তার পেছনে করা ত্যাগের উপর ভিত্তি করে! ভাবতেই গর্ব হয় না? বিশ্বের ইতিহাসে আমরা এমন এক জাতি যারা মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে জীবন উৎসর্গ করতে কুন্ঠিত হইনি। কিন্তু বর্তমান তরুণ সমাজে বাংলাভাষাকে নানাভাবে কলুষিত করার প্রবণতা দেখা যায়। 

 

যেসকল বীর ভাষা শহীদদের অবদানে বাঙালি তার মায়ের ভাষাকেই দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার করার অধিকার পেয়েছে, পেয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালনের স্বীকৃতি, পুরো বিশ্বের কাছে বাঙালী যে বীরের জাতির সম্মাননা পেলো সেই বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং স্বীয় ভাষার প্রতি মমত্ববোধ যেন কেবল এই একটি নির্দিষ্ট দিনেই সীমাবদ্ধ না থাকে, একজন গর্বিত বাঙালি হিসেবে বর্তমান প্রজন্মের কাছে আমার আকুতি, আমরা যেন প্রতি মূহুর্তেই বাংলা ভাষার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে পারি, যেন আমাদের চেতনা থেকে ম্লান হয়ে না যায় এই ভাষার যথাযথ মর্যাদা রক্ষা করার পেছনের করুণ পটভূমিটুকু।

 

 বাংলা ভাষা আমাদের অস্তিত্ব, বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার এক করুন ইতিহাসের নিদর্শন, মুক্তিকামী বাঙালির রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের প্রনোদনা- এর যথাযথ সম্মান রক্ষা করাই যেন হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমাদের তরুন প্রজন্মের প্রতিজ্ঞা।

 

শাওলী ইসলাম, শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

 

ভাষার জন্যে লড়াই থেমে নেই, যে লড়াই আজও চলমান

মাতৃভাষা আমার মায়ের ভাষা। প্রথম বলে ওঠা"মা"এ অনুভূতি বোঝার ক্ষমতা তখন আমার না থাকলেও মায়ের কাছে এ অনুভূতিটা হয়তো ভীষণ ভালোলাগার ছিল যে গল্পঃ আমাকে অদ্ভুদভাবে সুখী করে। মায়ের মুখ থেকে শুনে ধীরে ধীরে পরিচয় ভাষার সাথে। আর মায়ের থেকে পাওয়া এই উপহারটা আমার সর্ব সময়ের সঙ্গী হয়ে উঠলো যাকে বুকের ভেতর খুব যত্নে লালন করা যায়। কিন্তু সময় এবং বিদেশি সংস্কৃতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে কোথাও গিয়ে যেন সেই ভাষায় উচ্চারণ করতে আমার সংকোচ বোধ হচ্ছে।

 

নিজেকে আধুনিক প্রমাণ করার চেষ্টায় নিজের আঞ্চলিকতার সাথে তীব্র দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যাচ্ছি। ততাকথিত অশিক্ষিত বা অক্ষরজ্ঞান শূন্য যে মানুষগুলো এই আধুনিকতার লড়াইয়ে নামে নি তাদের সামনেও নিজেকে উপস্থাপন করার চেষ্টায় থাকি। ঠিক কি বুঝাতে চায়! নিজ ভাষা ভুলে আধুনিক হয়েছি নাকি শিক্ষিত হয়েছি? ১৯৫২ তে শুরু হওয়া ভাষার জন্য লড়াই আজ আমার মত প্রতিটা প্রাণের নিজের ভেতর লড়াই, একদিকে আধুনিকতা অন্যদিকে আমার নিজ ভাষা। 

 

আসলেই কি এটা হওয়া উচিত?আর এর শেষই বা কোথায়? আমরা কি পারবো এ লড়াইয়ে জিততে নাকি বিদেশি সংস্কৃতির কাছে মাথা নুইয়ে দিয়ে ভুলতে বসবো সেই প্রথম"মা"বলে ডাকার পর মায়ের অনুভূতি!

 

জান্নাতুল মাওয়া লিশা, শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

 

ভাষাকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন

রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ভাষার জন্য লড়াই করার ইতিহাস বাঙালি জাতিকে পৃথিবীর ইতিহাসে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। কারণ পৃথিবীর বুকে বাঙালিই একমাত্র জাতি যারা মাতৃভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছে। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ নাম না জানা অনেক শহিদের মহান আত্নত্যাগের বিনিময়ে পাকিস্তানি বর্বর শাসকগোষ্ঠীর যাতাকল থেকে অর্জিত হয়েছিল মায়ের ভাষা-বাংলা ভাষা। ভাষার জন্য লড়াই করে বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য বাংলা ভাষা পৃথিবীর বুকে যেমন স্থান করে নিয়েছে সুউচ্চ মর্যাদা, তেমনি ৮ই ফাল্গুন বা ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পেয়েছে। ২০০০ সাল থেকে সারা বিশ্বে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। যাদের প্রাণের বিনিময়ে মায়ের ভাষা-বাংলা ভাষার এত সম্মান, এত মর্যাদা তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।  

 

কিন্তু যে ভাষাকে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ছিনিয়ে এনেছিল বাংলার দামাল ছেলেরা, আজকে সেই ভাষাকে কি আমরা পূর্ণ মর্যাদা দিতে পারি? বাংলা ভাষার মর্যাদাকে আমরা দিবসকেন্দ্রিক করে ফেলেছি। আমরা বেশিরভাগ মানুষই বাংলা দিন ও তারিখ বলতে পারি না, ঠিকমতো বলতে পারি বাংলা বারো মাসের নাম। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে স্মার্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে ভুলে গেছি আমরা আমাদের রক্তাক্ত অতীতের ইতিহাস। ১৯৫২ সালে ভাষার  বিজয় অর্জিত হয়েছিল, ১৯৯৯ সালে ৮ ফাল্গুন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পেয়েছিল। কিন্তু আজকের এই সময়ে ভাষার সেই বিজয়ের মাহাত্ম্য আর মর্যাদাই বা কতটুকু?

 

আমাদের বাংলা ভাষাকে যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে। দিবসে দিবসে ‍‍`৫২ এর মতো ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে রাজপথে নামতে হবে। তুলে ধরতে হবে সোনালী অতীতের ইতিহাস বাংলার ঘরে ঘরে। বাংলা ভাষাকে হৃদয়ে ধারণ করার জন্য যে সকল বিষয়গুলো না জানলেই নয় সে বিষয়গুলোকে বেশি বেশি প্রচার করতে হবে।  বাংলা শুধু বাংলার ভাষা নয়, বাংলা সারা পৃথিবীর ভাষা। যুগে যুগে বৃদ্ধি পাক বাংলা ভাষার মাহাত্ম্য।  

 

মো: হৃদয় ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ১৭তম আবর্তন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

 

আমার ভাষা আমার আবেগ 
বাংলা শুধু একটি ভাষা ,এটি একটি আবেগ। এটি বাঙালিদের ভালোবাসা।যাকে রাষ্ট্রীয় রূপ দিতে রফিক,শফিক, বরকত সহ নাম না জানা আরও অনেক বাঙালি দামাল ছেলেরা তাদের তাজাঁ রক্ত এবং জীবন দিয়েছেন। কিন্তু এতো লড়াই করে অর্জন করা বাংলা ভাষা ধীরে ধীরে তার জৌলুস হারাচ্ছে।  

 

আজ ২১ ফেব্রুয়ারি, সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে ভাষার প্রতি সম্মান দেখানো একটি আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে।

 

মাতৃভাষা দিবসে কেবলমাত্র শহীদ মিনারে কিছু ফুল এবং দু-চর লাইন গান বলেই আমরা ধরে নেই আমাদের দায়িত্ব শেষ। আর ছুটতে থাকি ইংরেজি শেখার পেছনে।  

 

আবার, এখন বাংলার সাথে বিভিন্ন ভাষার মিশ্রণ ঘটিয়ে ভাষার অসম্মান করতেও আমরা কুণ্ঠিত হই না। যা আমাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক। ভাষা দিবস পালনের ক্ষেত্রেও অনেককে এখন হিন্দি ও ইংরেজি গানের ব্যবহার করতে দেখা যায়। এসব দেখে একটা কথাই বলতে ইচ্ছা করে,কেন করেছিলাম এতো লড়াই যদি তার সম্মানই রক্ষা করতে না পারি!  ভাষার জন্য জীবন দেওয়া একটা জাতির জন্য এটি খুবই দুঃখজনক একটি বিষয়।

 

কিন্তু ভাষা শহীদদের জীবনের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনা মাতৃভাষা বাংলাকে সম্মান করা আামাদের সকলের দায়িত্ব।  চলুন মন থেকে বাংলা ভাষাকে ভালোবেসে পালন করি এইবারের মাতৃভাষা দিবস।


নাম: মারুফা ইয়াসমিন, বিভাগ: নৃবিজ্ঞান, ১৭তম আবর্তন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

 

বাংলা ভাষা আমার পরিচয়, আমার গর্ব

আজ একুশের প্রথম প্রহরে ,আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারির গানটি বেজে উঠতেই গা শিউরে উঠল,নিজের অস্তিত্বের জানান দিল, শহীদের আত্মত্যাগ কথা স্মরণ হলো।অন্যদিকে মনে পড়ল সেই ঘাতকদের কথা যারা আমাদের মুখের ভাষাটা কেড়ে নেওয়ার নীল নকশা করেছিল। আমাদের বীর শহীদ ভাইয়েরা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল,নিজের জীবনের বিনিময় ভাষাকে রক্ষা করেছিল।পৃথিবীর ইতিহাসে বাঙালি জাতি ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিল, ইউনেস্কের মাধ্যম বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষায় পরিণত হলো।তাই নিজেকে বাংলাভাষী বলতে গর্ব বোধ করি।

 

রুদ্র চন্দ্র সরকার,  শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

 

বাংলা ভাষার চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে সর্বত্র

বাংলা আমাদের মাতৃভাষা আমাদের অহংকার। ভাষার জন্য রঞ্জিত হয়েছে আমাদের রাজপথ। ভাষার নিমিত্তে আত্মত্যাগ, আন্দোলন পৃথিবীর তথা গোটা বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা আগে থেকেই ফেব্রুয়ারি ও একুশ কে মর্যাদা ভালোবাসার সহিত পালনের জন্য সদা প্রস্তুত থাকি। ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের আলাদা একটা মনোভাব কাজ করে, যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আমরা এই মাসটি জুড়ে বইমেলা উদযাপন করি প্রতিটি শহরে। আর "একুশে ফেব্রুয়ারী"র দিন ছোট, বড়, বৃদ্ধ সবাই সৌন্দর্য মণ্ডিত পোশাক পরে হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে নগ্ন পায়ে প্রত্যুষে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করি। এ যেন এক মনো মুগ্ধকর দৃশ্যে। কিন্তু বিধি বাম শহীদ মিনার এলাকা ছেড়ে যত দূরে যাই, বাংলা ভাষার ,প্রতি শহীদদের প্রতি অঙ্গীকারগুলো ক্রমেই ভুলতে থাকি। বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে বাংলা ভাষার কোন ব্যবহারই ফুটে উঠে না। আধুনিকতার সাথে সাথে বাংলা ভাষার প্রতি অবজ্ঞা যেন দিন দিন বাড়ছে। যেহেতু কর্মক্ষেত্রে , দাপ্তরিক কাজকর্মে ইংরেজি ছাড়া চলে না ,এজন্য ইদানিং আমাদের সন্তান - সন্তানদের ইংরেজি ভার্সনে পড়ানো হচ্ছে। দেশের আলো বাতাসে বেড়ে উঠে, নিয়মিত বাংলা চর্চার অভাবে কিভাবে বুঝবে বাংলার মাধুর্য্য, গুরুত্ব? ইতিহাসের প্রতি কিভাবে হবে শ্রদ্ধাশীল? তাই অচিরেই আমাদের সকলকে কাজকর্মে, আচরণে, ইঙ্গিতে বাংলা ভাষার প্রতি দায়িত্বশীল থাকতে হবে। নিজ নিজ জায়গা থেকে বাংলা ভাষা কে আরো বিস্তৃত করার চেষ্টা করতে হবে।


ভাষার মাসে একটাই আকাঙ্ক্ষা সবার বিনয়ী আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিশ্বের শীর্ষ ভাষায় পরিণত হোক আমাদের অহংকার বাংলা ভাষা।

 

অর্নব সরকার,  শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!